
মানুষের জীবনে শৈশব এক অমূল্য অধ্যায়। সময়ের স্রোতে বয়ে চললেও শৈশবের স্মৃতি আজও মনকে পুলকিত করে। কারণ সেই দিনগুলো ছিল জীবনের অন্যসব সময়ের থেকে একেবারেই ভিন্ন।
বাল্যকালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা যেমন কোনো মানুষকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে, তেমনি তার পরিবার-পরিজনদের জন্যও রেখে যায় মধুর স্মৃতি। শৈশবের সেই চঞ্চলতা, দুষ্টুমি, সারাদিন ছুটে বেড়ানোর আনন্দ আজও হৃদয়ে রঙ ছড়ায়। তখনকার ছোট ছোট অপরিপক্ব কাজগুলো পরবর্তী জীবনে অভিজ্ঞতার রূপ নেয়, আর সেই অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে জীবনের চলার পথে বড় সম্পদ।
শৈশবের দিনগুলোতে ছিল না কোনো দুশ্চিন্তা বা দায়িত্বের বোঝা। শুধু খেলাধুলা, হৈচৈ আর প্রাণখোলা হাসি। কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পৌঁছে মানুষ যখন জীবনের বাস্তবতায় জড়িয়ে যায়, তখনই বুঝতে পারে সেই সোনালি দিনগুলো হারিয়ে গেছে চিরতরে।
আজকের ব্যস্ত শহুরে জীবনে মানুষের মাঝে দেখা দেয় হাঁপিয়ে ওঠার ভাব। তাই সুযোগ পেলেই মানুষ ছুটে যায় গ্রামের বাড়িতে—সেই শৈশবের মুক্ত আকাশের নিচে হারিয়ে যেতে।
চায়ের দোকানের আড্ডায় অথবা পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েও অনেক সময় ভেসে ওঠে সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্মৃতি। মনে পড়ে শিক্ষকদের বকুনি, কখনো রাগী শিক্ষকের শাসন। যেন সেই দিনগুলো এখনো চোখের সামনে জীবন্ত।
শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলো সত্যিই ছিল জীবনের সবচেয়ে মধুর সময়। সেই দিনগুলো আজ শুধুই স্মৃতি, তবুও মন বারবার ফিরে যেতে চায় সেসব সোনালি দিনে।
মিমিয়া