ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

নিষিদ্ধ চায়না জালে ঘাটাইলে অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় মাছ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মধুপুর-ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২০:১৩, ৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:১৪, ৬ জুলাই ২০২৫

নিষিদ্ধ চায়না জালে ঘাটাইলে অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় মাছ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চায়না ম্যাজিক জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। এতে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ডিমওয়ালা মাছসহ জলজ প্রাণী ধরা পড়ছে এ জালে। ফলে ক্রমেই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে নদী, খাল-বিল ও জলাশয়। 

সরেজমিনে, চায়না জাল সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা ও ৬০ থেকে ৯০ ফুট দৈঘ্য এবং ক্ষুদ্র ফাঁস বিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির হয়। লোহার রড ও রডের রিং দিয়ে খোপ আকারে বাক্স তৈরী করে চারপাশ সূক্ষ জাল দিয়ে ঘেরাও করে তৈরী করা হয়। ফলে দুদিক থেকেই মাছ ঢুকতে পারে। আকার ও মান ভেদে একটি চায়না জালের দাম দুই হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ঘাটাইলের সাগরদিঘী, হামিদপুর বাজার, গারোবাজার, পাকুটিয়া, ধলাপাড়া সহ বিভিন্ন হাট বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এই চায়না জাল। এই চায়না জালে পুটি, ট্যাংরা, টাকী, মাগুর, চেলা, শোল, শিং, ছোট চিংড়ি, পোনা এমকি বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী ব্যাঙ, সাপ, শামুক, কুচিয়া মারা পড়ছে। ফলে হুমকিতে পড়ছে এসব জলজ প্রাণীর জীবন চক্র।

চায়না জালে সব ধরণের মাছ ছেঁকে উঠে এবং তুলনামূলকভাবে দাম কম হওয়ার স্থানীয় মৎস শিকারীরা এ জাল দিয়ে মাছ ধরে। উপজেলার বংশাই নদী, টোক নদী, চাপরা বিলে ৩০ থেকে ৪০ জেলে চায়না জাল পেতে মাছ ধরা হচ্ছে। এ সময় জালে ধরা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় সব মাছ এমন কি নদী ও বিলে থাকা জলজ প্রাণীও এসব জালে উঠে আসছে।

ফলে হুমকির মুখে পড়ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। অবৈধ এই চায়না জাল বন্ধ না হলে আগামিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ খুঁজে পাওয়া যাবে না, হুমকিতে পড়বে জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য।

ঘাটাইল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা খুব শীঘ্রই অভিযান চালাবেন।

 
 

রিফাত

×