
ছবি: জনকণ্ঠ
নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান সড়ক চাটখিল-খিলপাড়া সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরসভার আট ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একমাত্র সংযোগ সড়ক হওয়ায় তারা কিছুদিন আগে মানববন্ধন করে সংস্কারের জোর দাবি জানান।
সরাসরি গিয়ে দেখা যায়, চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া বাজারের প্রবেশদ্বার থেকে চাটখিল দক্ষিণ বাজার (নাপিতের পুল) পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি বহুদিন ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে আছে। পুরো রাস্তাজুড়ে ভাঙন ও গভীর গর্তে চলাচল কার্যত অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থী, বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন। বর্ষাকালে এই গর্তগুলোতে পানি জমে কাঁদায় ভরে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে।
স্থানীয় পথচারীরা জানান, প্রতিদিনই কেউ না কেউ ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। অনেকের শরীরে কাঁদা ছিটকে যায়, বিশেষ করে বর্ষাকালে।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন, “এই রাস্তা নিয়ে আমরা চরম সমস্যায় আছি। এটার কাজ কখন হবে আল্লাহ জানেন। আগের সরকার কিছু করেনি, এখন তো সরকারই নেই। এই ভাঙা রাস্তায় চলাফেরা খুবই কষ্টকর।”
ভুক্তভোগী এক পথচারী বলেন, “এই রাস্তার ছবি তুলে অনেক সাংবাদিক পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন, কিন্তু আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। রাস্তার কাজ করাতে কেউ এগিয়ে আসে না।”
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রত্যাশী ইকবাল হোসেন বলেন, “চাটখিল-খিলপাড়া সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রায় ২-৩ হাজার যানবাহন চলাচল করত। কিন্তু বর্তমানে ১৫-২০টি গাড়িও চলাচলের উপযোগী নয়। আমি নিজেও ব্যবসায়ী, প্রতিদিন ঘুরপথে চলতে হচ্ছে। আমি চাই, ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে দ্রুত সংস্কার হোক।”
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহমেদ হোসেন রাজিব বলেন, “বৃষ্টি হলে হাঁটুজল কাদা হয়, সাঁতার কাটার মতো অবস্থা হয়। লক্ষাধিক মানুষ এই সড়কে চলাচল করে। একটা গাড়ি গেলেই কাঁদা ছিটকে গায়ে পড়ে। এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, “এই রাস্তা নিয়ে জেলায় আমরা প্রায় প্রতিমাসেই আলোচনা করি। এখন মূল সমস্যা হচ্ছে ঠিকাদার না পাওয়া। তিনবার ব্যর্থ হওয়ার পর এখন চতুর্থবার টেন্ডারে পাঠানো হয়েছে। আগের বড় ঠিকাদাররা পলাতক, আর নতুনরা কাজটি লাভজনক মনে করছেন না। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
শহীদ