ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এমন ৪টি খাবার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২৩:৫৪, ৬ জুলাই ২০২৫

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এমন ৪টি খাবার

ছবি: সংগৃহীত

মানবদেহকে শুধু পুষ্টি নয়, নানা জটিল রোগ থেকে সুরক্ষা দিতেও ভূমিকা রাখে কিছু নির্দিষ্ট খাবার। আধুনিক গবেষণা বলছে, আমাদের খাবারের পাতে যা থাকে, তা শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ও চিকিৎসার চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে।

বিশেষ করে ক্যান্সার রোধে। নিচে এমন ৪টি খাবারের কথা তুলে ধরা হলো, যেগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এবং প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা উপাদানে ভরপুর। নিয়মিত খাওয়া হলে এদের প্রভাব বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।

১. বেরি জাতীয় ফল (ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, আমলকি): বেরি জাতীয় ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ভিটামিন 'সি', ফাইবার এবং ক্যান্সার-প্রতিরোধী উপাদান 'অ্যান্থোসায়ানিন' থাকে। এগুলো দেহে জমে থাকা ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যালকে নিস্ক্রিয় করে কোষ রক্ষায় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে আমলকি, যা উচ্চমাত্রার পলিফেনল সমৃদ্ধ। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এবং লিভারকে সুরক্ষা দেয়। প্রতিদিন একমুঠো বেরি স্মুদি, ওটস কিংবা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

২. ব্রোকলি ও ফুলকপি: এই ক্রুসিফেরাস সবজি দুটিতে থাকে সালফোরাফেন ও গ্লুকোসিনোলেটস নামের প্রাকৃতিক উদ্ভিদ উপাদান, যা শরীর ডিটক্স করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধে সহায়তা করে। ব্রোকলি ও ফুলকপি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে ও হজমে সাহায্য করে। অল্প সেদ্ধ, ভাপে রান্না বা সালাদে ব্যবহার করেই পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। বিশেষ করে কোলন, স্তন ও ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।

৩. রসুন ও হলুদ: শত শত বছর ধরে রান্নায় ব্যবহৃত রসুন ও হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণে ভরপুর। রসুনে থাকা অ্যালিসিন উপাদান ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে দমন করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হলুদের সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন প্রদাহ রোধে এবং টিউমার গঠনে বাধা দেয়। রান্নায় তাজা রসুন যোগ করা কিংবা চায়ে ও তরকারিতে হলুদ ব্যবহার করলেই উপকার মেলে।

৪. বাদাম ও আখরোট: বাদামজাতীয় খাবারে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল যেমন সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই, যা কোষ মেরামতে সাহায্য করে ও দেহের প্রদাহ কমায়। আখরোটে ওমেগা-৩ এবং পলিফেনল থাকায় এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করে। আমন্ড হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ফাইবার সরবরাহ করে। প্রতিদিন একমুঠো বাদাম দীর্ঘমেয়াদে শরীর সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর।

শহীদ

×