ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে মনোবিজ্ঞানের যে ৭ কৌশল 

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ৭ জুলাই ২০২৫

আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে মনোবিজ্ঞানের যে ৭ কৌশল 

আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে মনোবিজ্ঞানের যে ৭ কৌশল 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সহজ মনোবিজ্ঞানের কৌশল জানা থাকলে আপনি হয়ে উঠতে পারেন আরও আত্মবিশ্বাসী, প্রভাবশালী এবং পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন সহজেই। মানুষের স্বাভাবিক মনস্তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই কৌশলগুলো ব্যবহার করলে শুধু সম্পর্ক নয়, পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনেও মিলতে পারে সাফল্য।

নিচে তুলে ধরা হলো এমন সাতটি কার্যকর মনোবৈজ্ঞানিক কৌশল, যা আপনাকে করে তুলবে আরও শক্তিশালী ও প্রভাবশালী।

১. নীরবতার শক্তি ব্যবহার করুন

অনেকেই অস্বস্তিকর নীরবতা ভাঙতে তাড়াহুড়ো করেন। কিন্তু স্মার্ট মানুষ জানে নীরবতাই হতে পারে তার গোপন অস্ত্র। তর্ক-বিতর্ক বা দরকষাকষির সময় একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকুন। এই মুহূর্তে অন্য পক্ষ মানসিক চাপে পড়ে অনেক সময় এমন কথাও বলে ফেলে, যা সে বলার ইচ্ছে রাখত না।

২. সামনে থাকা ব্যক্তির ভঙ্গি আয়ত্তে আনুন

সামনে থাকা ব্যক্তির দেহভঙ্গি, অঙ্গভঙ্গি বা কণ্ঠস্বর হালকাভাবে অনুকরণ করুন। একে বলা হয় "মিররিং টেকনিক", যা সম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক। মানুষের স্বভাবই এমন সে তাদেরকেই বেশি পছন্দ করে, যারা তার মতো।

৩. কথার সময় মাথা নাড়ুন, সম্মতির সংকেত দিন

কোনো বিষয় বলার সময় হালকা মাথা নাড়ালে শ্রোতাও তার অজান্তেই সম্মতি দিতে শুরু করে। এটি একধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, যেখানে আপনার কথাকে 'যুক্তিসম্মত' মনে হয় এবং শ্রোতার মন জয় হয় সহজেই।

৪. আদেশ নয়, দিন বিকল্পের সুযোগ

মানুষ আদেশ পছন্দ করে না, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা উপভোগ করে। এজন্য “এটা এখনই করো” বলার বদলে বলুন “তুমি কি এটা আজ করতে চাও, নাকি কাল ভালো হবে?” এতে মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রিত না ভেবে আরও সহযোগিতাপরায়ণ হয়ে ওঠে।

৫. আলোচনায় নাম ব্যবহার করুন

ডেল কার্নেগি বলেছিলেন, “মানুষের নিজের নাম তার কাছে সবচেয়ে মধুর শব্দ।” কথোপকথনের সময় কারও নাম ব্যবহার করলে তিনি গুরুত্ববোধ করেন, যা সম্পর্ক উন্নয়নে কার্যকর।

৬. ছোট অনুরোধ করে বিশ্বাস তৈরি করুন

'বেন ফ্রাঙ্কলিন ইফেক্ট' নামে পরিচিত এই কৌশলে দেখা গেছে, কাউকে ছোটখাটো উপকার চাইলে সে আপনাকে বেশি পছন্দ করতে শুরু করে। কারণ, সে মানসিকভাবে নিজেকে বোঝায় যে, “আমি তাকে সাহায্য করেছি, কারণ আমি তাকে পছন্দ করি।”

৭. তাদের শব্দগুলো ফিরে বলুন

কোনো ব্যক্তি কিছু বললে তার কথার গুরুত্বপূর্ণ অংশটি প্রাকৃতিকভাবে আবার বলুন। এতে সে বুঝবে আপনি মন দিয়ে শুনছেন। যেমন, কেউ বলল “আমি অফিসে খুব চাপের মধ্যে আছি।” আপনি বলতে পারেন “মানে অফিসের চাপটা এখন খুব বেশি মনে হচ্ছে?” এটি গভীর সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার সূচনা করে।

তথসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

তাসমিম

×