
ছবি: সংগৃহীত
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং অনেক ক্ষেত্রেই উপসর্গগুলো অজান্তেই থেকে যায়। তবে সুখবর হলো, আমাদের লিভারের শক্তিশালী পুনর্জীবন ক্ষমতা রয়েছে, আর প্রাকৃতিক কিছু পানীয় লিভার সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বা স্কেচি ডিটক্স পানীয় বাদ দিয়ে নিচের ১০টি প্রাকৃতিক পানীয়কে খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে —
কফি:
প্রতিদিন ২-৩ কাপ ব্ল্যাক কফি লিভার ফ্যাট ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ দুধ:
হলুদের কারকিউমিন যৌগ লিভারের চর্বি কমাতে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সহায়তা করে।
আমলা জুস:
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলা লিভারের চর্বি প্রতিরোধে কার্যকর।
গ্রিন টি:
গ্রিন টির ক্যাটেচিনস প্রদাহ কমিয়ে লিভার ফ্যাট কমায়।
বীটরুট জুস:
বীটের বেটালেইন লিভার ডিটক্সিফিকেশন ও বাইল প্রবাহ উন্নত করে।
লেবু পানি:
উষ্ণ লেবু পানি লিভারের এনজাইম সক্রিয় করে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জুস:
অ্যালোভেরা লিভারের প্রদাহ কমিয়ে হজমশক্তি ও রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার:
ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে লিভার ফ্যাট কমাতে পারে।
ধনিয়া পানি:
ধনিয়ার পানি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও লিভার ক্লিনজিং হিসেবে কাজ করে।
নারকেল পানি:
প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটের উৎস হিসেবে লিভারকে হাইড্রেটেড রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পানীয় নিয়মিত খেলে লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। তবে এটি কোনো চূড়ান্ত চিকিৎসা নয়, বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অংশ।
সতর্কতা:
- কোনো নতুন খাদ্যাভ্যাস শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- চিনি, অ্যালকোহল ও প্রসেসড খাবার কমাতে হবে।
- হাইড্রেশন বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
আঁখি