
ছবি: প্রতীকী
ইরান-ইসরাইল সাম্প্রতিক সংঘাতের পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে কূটনৈতিক উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিতে প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছে বেইজিং। সেই সঙ্গে ইরানে ইসরাইলের হামলাকে ‘অবৈধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীন।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল এবং তাদের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। শুধু সমর্থনেই সীমাবদ্ধ না থেকে এবার ইরানকে শক্তি সঞ্চারের বাস্তব পদক্ষেপ নিচ্ছে বেইজিং। চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক জে-১০সি যুদ্ধবিমান কিনছে ইরান।
১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ইসরাইলের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার পর নতুন করে আকাশ প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে ইরান। সেই পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে চীনের তৈরি চতুর্থ প্লাস জেনারেশনের জে-১০সি যুদ্ধবিমান। বহুমুখী এই যুদ্ধবিমান আকাশ যুদ্ধের পাশাপাশি স্থলভাগ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধে কার্যকরভাবে ব্যবহারের জন্য সুপরিচিত। চেংদু এরোস্পেস কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত এই জেটকে অনেকেই ‘শক্তিশালী ড্রাগন’ নামে অভিহিত করে থাকেন।
এর আগেও পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধা পেয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের শুরু থেকেই তেহরানের পাশে ছিল চীন। ইসরাইলের অতর্কিত হামলার বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় নিন্দা জানায় বেইজিং। এমনকি যুদ্ধ চলাকালে চীন থেকে ইরানে যাওয়া রহস্যময় কার্গো বিমানের কারণে ধারণা করা হয়, চীন গোপনে ইরানকে সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে ইসরাইলের সমালোচনা করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘ইরানের পরমাণু ইস্যুতে যুদ্ধ নয়, কূটনীতিই হতে হবে সমাধান।’ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং ই আরও বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির প্রতিশ্রুতির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে চীন।
এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, ‘একটি সার্বভৌম দেশের পরমাণু স্থাপনায় প্রকাশ্যে বোমা হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এক নেতিবাচক নজির স্থাপন করেছে।’
চীন-ইরান সম্পর্কের এই ঘনিষ্ঠতা নতুন এক ভূরাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=GrTsd3dggDY
রাকিব