ছবি: বান্দরবানে জোরপূর্বক টোল আদায়ের অভিযোগে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বান্দরবান সদর উপজেলার বাঘমারা বাজারে বাজার ফান্ডের ইজারাদার কর্তৃক টোল-ট্যাক্স আদায়ের নামে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন মালামাল পরিবহনকারী যানবাহন থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বান্দরবান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে বাঘমারা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা স্থানীয়রা বিগত দিনে ২৫-৩০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বান্দরবানে আনলেও কোনো ধরনের ট্যাক্স দিতে হতো না। সম্প্রতি টোল-ট্যাক্সের নামে বান্দরবান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও তার সঙ্গীরা জোরপূর্বক ট্যাক্স আদায়ের নামে প্রতিটি গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন।
বক্তারা আরও বলেন, যদি জেলা পরিষদ থেকে বাজার ইজারা দেওয়া হয়, তাহলে বাজারে বিক্রি হওয়া মালামাল থেকে ট্যাক্স উত্তোলন করা হবে—এটাই নিয়ম। কিন্তু তা না করে বাজারের ওপর দিয়ে চলাচলকারী মালামাল বহনকারী গাড়ি (যা বাজারে বিক্রি বা নামানো হয় না) এমনকি ছোট পরিবহন থেকেও বেপরোয়া ও অতিরিক্ত হারে টোল আদায়ের নামে দলীয় লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক চাঁদাবাজির মতো ট্যাক্স আদায় করছে। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক, আইনবিরোধী ও অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাই দ্রুত এ ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানান বক্তারা।
এ সময় মানববন্ধনে বাঘমারা এলাকার ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দাসহ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে বাঘমারা বাজারের ব্যবসায়ী মো. আবুল কাশেম জানান, আমরা এলাকার জনসাধারণ স্মারকলিপিসহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই মহোদয়ের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, আগের নিয়মেই টোল-ট্যাক্স আদায় করা হবে। বাড়তি কোনো টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
ইমরান
