ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া ৫ কার্যকর উপায়   

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ১০ জুলাই ২০২৫

ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া ৫ কার্যকর উপায়   

ছবি: সংগৃহীত

ইউরিক অ্যাসিড হলো শরীরের বর্জ্য পদার্থ, যা “পিউরিন” নামে একধরনের উপাদান ভাঙার ফলে তৈরি হয়। এই পিউরিন থাকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও পানীয়তে। যখন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণে জমে যায়, তখন এটি গাউট, কিডনি স্টোনের মতো যন্ত্রণাদায়ক স্বাস্থ্যসমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে ভালো খবর হলো—জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে স্বাভাবিকভাবেই ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমানো সম্ভব, এমনটাই বলছে গবেষণা।

১. ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায় এমন খাবার কম খান
ইউরিক অ্যাসিড কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর একটি হলো খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল মাংস, কলিজা বা যকৃতজাতীয় খাবার, সামুদ্রিক খাবার ও চিনি-মেশানো পানীয়তে উচ্চমাত্রায় পিউরিন থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয়। এর পরিবর্তে ফলমূল, শাকসবজি, পূর্ণশস্য ও কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উপকারী। বিশেষ করে চেরি ইউরিক অ্যাসিড ও প্রদাহ একসাথে কমাতে সহায়তা করতে পারে।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে কিডনিকে সাহায্য করে পানি। প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত পানি খান, তাদের গাউট বা কিডনি-সংক্রান্ত জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৩. ধীরে ও নিরাপদে ওজন কমান
অতিরিক্ত ওজন শরীরের ওপর চাপ বাড়ায় এবং ইউরিক অ্যাসিড তৈরির হারও বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, সামান্য ওজন কমলেও ইউরিক অ্যাসিড হ্রাস পায়। তবে দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা (ক্র্যাশ ডায়েট, উপবাস) উল্টো ক্ষতি করতে পারে, কারণ তা সাময়িকভাবে ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয়।

৪. সক্রিয় থাকুন, অ্যালকোহল কমান
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করাই যথেষ্ট। অন্যদিকে, অ্যালকোহল, বিশেষ করে বিয়ার ও হার্ড লিকার, ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা আগে গাউটে ভুগেছেন, তাদের জন্য অ্যালকোহল কমানো বিশেষ উপকারী।

৫. জীবনযাত্রা বদলেও কাজ না হলে ওষুধের সাহায্য নিন
সব ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জীবনধারা বদলই যথেষ্ট নয়। যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা খুব বেশি থাকে বা ঘন ঘন গাউটের আক্রমণ হয়, তাহলে চিকিৎসক ওষুধ দিতে পারেন। এসব ওষুধ ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে দেয় বা তা শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।

নোভা

×