
ছবি: সংগৃহীত
হার্ট ফেইলিউর মানেই কি শুধু উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরল? না! এমনই এক বিস্ময়কর ও প্রায়ই উপেক্ষিত কারণ সামনে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত কার্ডিয়োলজিস্ট ড. দিমিত্রি ইয়ারানোভ। ১০ জুলাই ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি বলেন, অনেকেই বছরের পর বছর ভুল রোগনির্ণয়ের ভুক্তভোগী হন, অথচ তাঁদের হৃদপিণ্ড ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এক ভয়াবহ প্রোটিনের কারণে—নাম ‘অ্যামিলয়ডোসিস’।
❝হার্ট ধ্বংস করে দিচ্ছে এক নীরব প্রোটিন❞
ড. দিমিত্রি জানান, “এটা ব্লকড ধমনী নয়, না-ই বা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হার্ট অ্যাটাক। এটি হলো অ্যামিলয়ডোসিস—এক ধরনের প্রোটিন যা হৃদপিণ্ডে জমে গিয়ে তাকে কঠিন করে ফেলে এবং ধীরে ধীরে ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়।”
এই রোগটি এতটাই ধীরে প্রভাব ফেলে যে, বেশিরভাগ রোগীকে দীর্ঘদিন ধরে শুধু হাইপারটেনশন বা বয়সজনিত দুর্বলতা বলে ভুল রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উপসর্গগুলো কীভাবে ধরা যায়?
এ বিষয়ে ড. দিমিত্রি সতর্ক করে বলেন, “ইকোকার্ডিওগ্রামে হার্টের দেয়াল ঘন দেখা যায়, ইসিজিতে ভোল্টেজ কম পাওয়া যায়, আবার দেখা দিতে পারে কার্পাল টানেল সিনড্রোম, স্পাইনাল স্টেনোসিস কিংবা অকারণ ক্লান্তি। কিন্তু যদি আপনি খুঁজে না দেখেন, তাহলে একে শনাক্তই করা যায় না।”
❝এটি বিরল নয়, বরং ভুলভাবে অবহেলিত❞
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো—এই রোগটি বিরল নয়। বরং এটি এতটাই আড়ালে থেকে যায় যে অধিকাংশ ডাক্তারই সাধারণ চেকআপে এর উপস্থিতি খেয়াল করেন না। ফলে রোগটি তখনই ধরা পড়ে, যখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।
কেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হৃদরোগ এখনো বিশ্বের প্রধান মৃত্যুর কারণ। আর এই অ্যামিলয়ডোসিস যদি আগেভাগে ধরা না পড়ে, তাহলে হার্ট ফেইলিউরের জটিলতা দ্রুত বাড়তে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা অকারণে ক্লান্তি, পিঠব্যথা বা নিউরোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছেন, তাদের উচিত হৃদপিণ্ডের বিস্তারিত স্ক্রিনিং করা।
আপনি কী নজর দিচ্ছেন?
হৃদরোগের এই নীরব ঘাতককে চিহ্নিত করতে হলে চিকিৎসক ও রোগী—উভয়েরই সতর্ক থাকা জরুরি। ভুল রোগনির্ণয়ের শিকার হয়ে জীবন হারানোর আগেই দরকার সময়মতো সঠিক পরীক্ষাগুলো করা।
সূত্র: Dr. Dmitry Yaranov, Instagram
Mily