ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের পাল্টা জবাব: রয়টার্সকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ইসরায়েলি পাইলট

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:২১, ৯ জুলাই ২০২৫

ইরানের পাল্টা জবাব: রয়টার্সকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ইসরায়েলি পাইলট

ছবি: সংগৃহীত

১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক অবকাঠামোতে বড় আকারের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান পাল্টা জবাব দেয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে। তেল আবিবসহ ইসরাইলের একাধিক শহরে আঘাত হানে ইরানের মিসাইল। ১২ দিন টানা সংঘর্ষের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।

এই সংঘর্ষের অভিজ্ঞতা নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর এক পাইলট। তিনি জানান, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন তিনি। একটি মিসাইল ইসরায়েলের একটি জনবহুল শহরের আবাসিক ভবনে আঘাত হানে এবং মুহূর্তেই ধসে পড়ে সেই ভবন। আশপাশের বহু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

‘আমরা আকাশ থেকেই এই দৃশ্য দেখেছি। পরে জানতে পারি, এতে বহু ইসরাইলি হতাহত হয়েছেন,’ বলেন তিনি।

ইসরায়েলের টেলনাফ বিমানঘাঁটি থেকে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই পাইলট আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের এই অভিযান ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামো, পারমাণবিক হুমকি এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম দমনের লক্ষ্যেই পরিচালিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই আঘাত হানার চেষ্টা করি। বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি যতটা সম্ভব এড়ানোই আমাদের উদ্দেশ্য।’

পাইলট জানান, তার স্কোয়াড্রন ইরানে ইসরায়েলের অভিযানে প্রথম ২৪ ঘণ্টা অংশ নেয় এবং পরে গাজা, উত্তর ইসরায়েল ও ইয়েমেনে হুমকি প্রতিরোধে বিভিন্ন মিশনে অংশ নেয়।

‘আমরা যখন ইরানের আকাশে থাকি, তখন বুঝি আমরা শুধু আক্রমণ চালাচ্ছি না, বরং ইসরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের রক্ষা করার চেষ্টা করছি,’ বলেন তিনি।

১৩ জুন শুরু হওয়া এই দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষে কেবল ইরান-ইসরায়েল নয়, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকটি দেশ। দ্বিতীয় সপ্তাহেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=RmeYdGQUneI

রাকিব

×