ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে ৭ গ্রামের মানুষ

পারভীন আক্তার,রৌমারী (কুড়িগ্রাম)

প্রকাশিত: ১১:২১, ১২ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:০৩, ১২ জুলাই ২০২৫

১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে ৭ গ্রামের মানুষ

১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক

রৌমারীতে ১০বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী ৭ গ্রামের ১০হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সরকারের সাড়ে ৩২লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ সেতুটি। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ  হয়। তবে ব্রিজের দু'পাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কার্যত সড়কটি সেই থেকে অচল হয়ে পড়েছে। এতে দীর্ঘ ১০বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার দুবলাবাড়ি, পুরাতন যাদুরচর, ঝাউবাড়ি,বকবান্ধা, খেওয়ারচর, কাশিয়াবাড়ি, বাওয়াইরগ্রামের হাজারও মানুষকে।

বৃহস্পতিবার (১০জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক থেকে ব্রিজটি প্রায় ১৫-২০ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে।  ব্রিজের দু'পাশে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয় নাই সংযোগ সড়ক। 

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, আগে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার হাজারও মানুষ চলাচল করতেন। ব্রিজ নির্মাণের পর এর দু''পাশে মাটি দিয়ে ভরাট না করায় ওই সময় থেকে সচল রাস্তাটি অচল হয়ে গেছে। 

দুবলাবাড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা সহিদ মাসউদ আহমেদ, কৃষক জয়েন উদ্দিন, রুহুল আমিন বলেন, দুবলাবাড়ি বাজার থেকে কর্তিমারী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন পায়ে হেটে ৩ কিলোমিটার চলাচল করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নাই। ব্রিজটিতে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ পাঁকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা। 

ব্রিজটি উপজেলার যাদুরচর ও রৌমারী সদর এই দুই ইউনিয়নের সীমান্ত সড়কে হওয়ায় এর দিকে কারও কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়  সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলার পুরাতন যাদুরচর এলাকার ময়নাল মেম্বরের বাড়ির পাশে ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৪০ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজ  নির্মাণে সরকারের মোট ৩২লাখ ৫২হাজার ৬৫৩টাকা ব্যয় হয়।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সামসুদ্দিন বলেন, কাজটি আমার সময়ের নয়। সেতুটি যদি ক্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে আমরা সেটি যান চলাচলের উপযোগি করার চেষ্টা করবো।
 

তাসমিম

×