
দৈনিক জনকণ্ঠ
ইট উৎপাদনের কথা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে উপরিভাগের মাটি কেটে ফসলি জমির বারোটা বাজানো কিংবা জ্বালানি কাঠ, গাড়ির পুরোনো টায়ার ও রাবার পুড়িয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির নানা চিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার ৯০ থেকে ১০০ টি ইটভাটা রয়েছে। যে ইট প্রস্তুত করার জন্য প্রত্যেক বছর শত শত বিঘা কৃষি জমিতে কথিত পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে করে খাদ্য উৎপাদনে কৃষিজমি কমে আসছে এ জেলায়।
কিন্তু ও রাজবাড়ীর খানখানাপুর সাম বাজারে একটি ইট ভাটায় কৃষি জমি নষ্টের বালাই নাই। এখানে আধুনিক যন্ত্রে সিমেন্ট, বালু ও পাথরকুচি এবং কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব কংক্রিট ইট।
এই কারখানাটির নাম( এমসিবি) ব্রিকস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। মালিক প্রবাসী মোহাম্মদ রফিক মোল্লা। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানে মাটির তৈরি ইটের কোনো চাহিদা নাই।
সেখানে বড়ো বড়ো দালান কোঠা এই সিমেন্টের তৈরি ইট দিয়ে করা হয়। সেখান থেকে ফিরে এসে কৃষি জমি রক্ষা করার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব ইট তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এ ব্যবসায় তিনি সফলতার মুখ দেখেছেন।
কারখানা দেখতে মঙ্গলবার এই প্রতিবেদক গিয়েছিলেন রাজবাড়ি সদরের খানখানাপুর সাম বাজারে গ্রামে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় প্রায় এক বিঘা জমিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যাশ,বালু,সিমেন্ট, ও পাথরকুচি এসে মিশে যাচ্ছে। এরপর যন্ত্রের চাপে তৈরি হচ্ছে ইট। এসবই পোড়ানোর প্রয়োজন পড়ছে না।
কারখানার মালিক রফিক মোল্লা বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে পরিবেশ বান্ধব ইটের বিকল্প নেই। এই চিন্তা থেকে এই কারখানা চালু করেছি।
তিনি আরো জানান গত দুই বছর যাবত এই ইট কারখানা শুরু করেছি। এই ইট কারখানায় ইট তৈরিতে আনুপাতিক হারে ৪০ শতাংশ ফ্লাই অ্যাশ, ৪০ শতাংশ বালু, ১৫ শতাংশ সিমেন্ট ও ৫% পাথর কুচি ব্যবহার করা হয়।
সচেতন সমাজ বলছেন, প্রত্যেক বছর মাটির তৈরি ইট ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা দেশের হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি হারিয়ে ফেলছি। কৃষি জমি বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের কংক্রিট তৈরি ইট ব্যবহার প্রযোজনা।
হ্যাপী