ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরের ফেসবুক পোস্ট

স্বৈরাচারের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে সাবেক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা!

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:১৪, ৭ জুলাই ২০২৫

স্বৈরাচারের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে সাবেক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা!

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বেশ কিছু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও পলাকত রয়েছেন অনেকে। আবার এমন অনেকে আছে যাদের নামে মামলা থাকলেও প্রকাশ্যে ঘুরছেন-ফিরছেন।

এমনই একজন হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও প্রকাশ্যে ঘুরছেন তিনি।

শেখ হাসিনার মামাতো বোন ও ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মিলির ঘনিষ্ঠ এই নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি একরকম ভোগবিলাসের মধ্যে দিয়েই সময় পার করছেন। একই সঙ্গে পতিত আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীর সম্পদ ঘরবাড়ি পাহারা দিচ্ছে সঙ্গে তা ভোগও করছেন।

সোমবার (৭ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে এমন অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর।

স্বৈরাচারের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে শেখ মিলির ঘনিষ্ঠ সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা! শিরোনামে ফেসবুকে দেওয়া জাওয়াদ নির্ঝরের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

শেখ হাসিনার মামাত বোন ও ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মিলির ডান হাত ও সকল অপকর্মের হোতা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি সুমনা ইসলাম। এখনো ভোগবিলাসের মধ্যে দিয়েই আছে। এতকিছুর পরেও এদের কিছু হচ্ছে না, পতিতদের সম্পদ ঘরবাড়ি পাহারা দিচ্ছে সাথে তা ভোগও করছে।

সুমনা ইসলাম রাশিয়া ইউনিট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও ধানমন্ডি মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে।

সাবেক এলজিইডির পলাতক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল সুমনা ইসলামের। এরই জেরে হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা। এখনো কোনো কাজ বা ব্যবসা না করলেও চড়েন অর্ধ কোটি টাকার গাড়িতে, থাকেন ধানমন্ডিতে বিলাসবহুল ফ্লাটে। এছাড়া সুমনার বিরুদ্ধে রয়েছে ফাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা এবং মন্ত্রীদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত হওয়া সহ আরও অনেক অভিযোগ।

মামলাবাজ হিসেবেও সুখ্যাতি রয়েছে সুমনা ইসলামের, এক সাংবাদিককেও ফ্লাট ভাড়া চুক্তি করে নিজ ফ্লাটে উঠতে গিয়ে তিনি হয়রানির করেছেন। দিয়েছেন মামলাও। এ বিষয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মানহানি মামলাও দায়ের করেছিলেন হেনস্থার শিকার সিনিয়র সাংবাদিক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুমনা ইসলামের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকান্দি উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামে।

এদিকে বিয়ে নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট করার অভিযোগ করেছে সুমনা ইসলামের বিরুদ্ধে। সিলেটের এক সাবেক সংসদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিশাল অংকের টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছেন এই নারী।

 

রিফাত

×