
ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানো সত্যিই কঠিন, বিশেষ করে যদি স্বাস্থ্যগত জটিলতা সঙ্গে থাকে। তবে পেশাদার পুষ্টিবিদ উদিতা আগরওয়াল ঠিক করেছিলেন, তিনি শুধু ফিটনেসের জন্য নয়, নিজের স্বাস্থ্য ফেরাতেও ওজন কমাবেন। ৮ মাসে ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে উদিতার এই যাত্রা সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। কোনো জিমে না গিয়েই তিনি ৯৫ কেজি থেকে ৬৫ কেজি ওজনে পৌঁছান, শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণের মাধ্যমে। এতে তার স্বাস্থ্যও অনেক ভালো হয়, এবং ওজন বাড়ানো ঔষধও বন্ধ করতে সক্ষম হন।
উদিতা তার ভাইরাল ভিডিওতে জানিয়েছেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই স্থূলতায় ভুগতাম। পিগমেন্টেশন, নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা, ভয়াবহ চুল পড়া, ব্রণ, মুখে অস্বাভাবিক লোম এসব ছিল নিত্যসঙ্গী।”
তিনি জানান, একদম প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার খাবার খেয়েই ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
“ওজন কমানোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জাংক ফুডের লোভ সামলানো। তাই আমি তার স্বাস্থ্যকর বিকল্প খুঁজে নিয়েছিলাম,” বলেন উদিতা।
উদিতার ওজন কমানোর কিছু অভ্যাস:
১. ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার অভ্যাস
প্রতিদিন নিয়ম করে ডিটক্স ওয়াটার পান করতেন—জিরা, আজোয়াইন, মেথি, মৌরি ফুটিয়ে সেই পানি খেতেন। এতে পেটের ফাঁপাভাব কমত, হজমেও সাহায্য করত।
২. ডায়েট পুরোপুরি মানতেই হবে—এমন চাপ নয়
“কখনো ভুল করে ডায়েট ভেঙে ফেললেও, সেটা নিয়ে সারা দিন মন খারাপ করতাম না। বাকি সময় ডায়েট ঠিকঠাক মেনে চলতাম,” বলেন উদিতা।
৩. ওজন ওঠানামায় মন খারাপ নয়
উদিতা জানান, তিনি প্রতিদিন ওজন মাপতেন। মাঝে মাঝে ওজন বেড়ে যেতেও দেখতেন, তবে এতে কখনো হতাশ হতেন না।
“ওজনের স্কেলে কী সংখ্যা দেখাচ্ছে, তা নিয়ে মনঃসংযোগ নষ্ট করিনি। বরং ধারাবাহিকভাবে ডায়েট চালিয়ে গিয়েছি,” বলেন তিনি।
৪. শুধুমাত্র বাসার রান্না খাওয়া
উদিতা বলেন, “আমি বাইরে গেলেও বাড়ির রান্না করা খাবার টিফিনে নিয়ে যেতাম। বাইরের কিছু খেতাম না।”
৫. চিয়া বীজের পানি পান
তিনি জানান, “আমি আধা লিটার পানিতে চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখতাম, তারপর সারাদিন সেই পানি ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে খেতাম। এর সঙ্গে দিনে ৩-৪ লিটার পানি খাওয়ার লক্ষ্যও রাখতাম।”
৬. চায়ের সঙ্গে নাস্তা নয়
উদিতা বলেন, “আমি দিনে একবার চা খেতাম, তবে কখনোই অস্বাস্থ্যকর কোনো নাস্তা বা খাবারের সঙ্গে না।”
৭. ময়দা পুরোপুরি বাদ
তিনি জানান, ময়দা একেবারে ছেড়ে দিয়েছিলেন, তবে চিনি পুরোপুরি বাদ দেননি।
৮. প্রতিটি খাবারের আগে পানি পান
উদিতা প্রতিটি খাবারের আগে পানি খেতেন, যাতে বেশি খাওয়া না হয়।
আবির