ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

গুগল থেকে নেতিবাচক কনটেন্ট সরানোর কৌশল: ব্র্যান্ড ইমেজ রক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত: ২৩:৪৫, ৬ জুলাই ২০২৫

গুগল থেকে নেতিবাচক কনটেন্ট সরানোর কৌশল: ব্র্যান্ড ইমেজ রক্ষায় যা করবেন

ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে হলে অনলাইনে নেতিবাচক খবর বা ভুল তথ্য দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গুগল সার্চে প্রকাশিত নেতিবাচক আর্টিকেল বা সংবাদ ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা ধ্বংস করে দিতে পারে এবং গ্রাহকদের আস্থার ঘাটতি ঘটিয়ে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কেন নেতিবাচক কনটেন্ট সরানো জরুরি?

ইন্টারনেটে ভুল তথ্য, ভুয়া রিভিউ বা বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন আপনার সুনামকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। এটি আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট বাড়িয়ে দেয় এবং ক্লিক-থ্রু রেট কমিয়ে দেয়, ফলে আপনার বিক্রি ও আয় কমে যায়। এই ধরনের তথ্য যত দিন ইন্টারনেটে থেকে যায়, আপনার ইমেজের ক্ষতি ততই বাড়ে।

কীভাবে গুগল থেকে নেতিবাচক কনটেন্ট সরাবেন বা দমন করবেন?

১. সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে রিপোর্ট করুন

নানাভাবে বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশিত হলে প্রথমেই ওই সাইটের কনটেন্ট পলিসি দেখে সেটি লঙ্ঘন করছে কি না তা যাচাই করুন। যদি করে, তাহলে উপযুক্ত প্রমাণসহ আর্টিকেলটি মুছে ফেলার অনুরোধ জানিয়ে ওয়েবসাইটে রিপোর্ট পাঠান।

২. গুগলে রিপোর্ট করুন

ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে কাজ না হলে গুগলের কাছেও রিপোর্ট করতে পারেন। মিথ্যা তথ্য, মানহানিকর কনটেন্ট বা ভুয়া লিংক থাকলে গুগল সেগুলো সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে পারে। এখানে আপনাকে যথাযথ তথ্য-প্রমাণ দিতে হবে।

৩. লেখকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন

প্রতিবেদনটি যিনি লিখেছেন, তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করাটা হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। ভদ্র ভাষায় ইমেইল লিখে জানান কোন অংশটি ভুল বা ক্ষতিকর এবং প্রমাণসহ অনুরোধ জানান তা সংশোধন বা মুছে ফেলার।

দমন না হোক, “সাপ্রেশন” কৌশলেও সমাধান সম্ভব

সবসময় কনটেন্ট ডিলিট করা সম্ভব নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন সাপ্রেশন বা “নেতিবাচক কনটেন্টকে পেছনে ঠেলে দেওয়া” কৌশল ব্যবহার করুন।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করুন

ফেসবুক, লিঙ্কডইন, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার – এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করে পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল তৈরি করুন। এগুলো সার্চে উপরের দিকে উঠবে এবং নেতিবাচক লিংকগুলো নিচে নেমে যাবে।

৫. ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করে নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করুন

আপনার কোম্পানির ইতিবাচক তথ্য ও রিভিউ দিয়ে একটি ওয়েবসাইট গড়ে তুলুন। ভালো SEO কনটেন্ট দিয়ে সাইটটি সাজান। এতে করে গুগল সার্চে ইতিবাচক তথ্য উপরে আসবে।

৬. প্রভাবশালী ওয়েবসাইটে পজিটিভ আর্টিকেল প্রকাশ করুন

বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য মিডিয়া বা ব্লগে কোম্পানির ভালো কাজ ও নেতৃত্ব নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী লেখা দিন। এতে করে আপনার সুনাম বাড়বে এবং গুগলে সেই ইতিবাচক কনটেন্টই আগে আসবে।

৭. ব্যাকলিংক তৈরি করুন

আপনার ব্র্যান্ডকে ঘিরে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করুন। এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার উপস্থিতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে নেতিবাচক কনটেন্টকে পেছনে সরিয়ে দেয়।

৮. কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন

যে শব্দ বা কীওয়ার্ডে নেতিবাচক খবর আসে, সেগুলো খুঁজে বের করুন এবং ওই কীওয়ার্ড ব্যবহার করে ইতিবাচক কনটেন্ট তৈরি করুন। এতে করে নতুন কনটেন্ট গুগলে উপরের দিকে আসবে।

উপসংহার

নেতিবাচক অনলাইন কনটেন্ট সরানো বা দমন করাটা সময়সাপেক্ষ ও কৌশলগত হলেও তা জরুরি—কারণ ব্র্যান্ড মানেই বিশ্বাস। আর বিশ্বাস তৈরি হয় ভালো ইমেজ দিয়ে। তাই দেরি না করে আজ থেকেই গুগলে আপনার ব্র্যান্ডের উপস্থিতি সুসংহত করুন।

সূত্রঃ https://www.entrepreneur.com/starting-a-business/how-to-deal-with-negative-articles-on-google/493404

ইমরান

×