ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতার উদ্যোগে শতবর্ষী কবরস্থানের সংস্কার

মোঃ জয়নাল আবেদীন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, সীতাকুণ্ড

প্রকাশিত: ২০:০৭, ৬ জুলাই ২০২৫

সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতার উদ্যোগে শতবর্ষী কবরস্থানের সংস্কার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় পুকুরের পানিতে কবরস্থানের ধসে পড়া মাটি রক্ষা করতে ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী কবরস্থান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ দিদারুল আলম দিদার। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তিনি এই উদ্যোগ নেন।

এ উদ্যোগে এলাকার অন্তত পাঁচশত পরিবার সাড়া দিয়েছে। কারণ শতবর্ষী কবরস্থানের মাটি ধস ঠেকাতে না পারলে অচিরেই পুকুরের পানিতে তলিয়ে যাবে হামিদ আলী মিস্ত্রী জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান। ফলে মানুষের মৃত্যুর পর শেষ ঠিকানা নির্ধারণ এবং বেওয়ারিশ লাশ দাফনেও স্থানীয়দের হিমশিম খেতে হবে। সবদিক বিবেচনায় উত্তর বাঁশবাড়িয়া ২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিদারুল আলম দিদার কবরস্থানের ১২ শতক জমি রক্ষায় ইতিমধ্যে গাইডওয়াল নির্মাণ করেছেন।

কবরস্থান সংস্কার বিষয়ে মোঃ দিদারুল আলম দিদার বলেন, “শত বছরের পুরনো কবরস্থানটির জমির পরিমাণ ১২ শতক। ইতিমধ্যে সাড়ে ৪ শতক জমি পুকুরের পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি কবরস্থান রক্ষায়। আমি এলাকার বাসিন্দাদের কবরস্থান সংস্কারের বিষয়টি জানালে তারা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসেন। ইতিমধ্যে গাইডওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের পূর্বে বিষয়টি জননেতা লায়ন আসলাম চৌধুরীকে জানালে তিনি আমাকে কাজ করার পরামর্শ দেন। প্রিয় নেতার সাহসে আমি উদ্যোগ নিই। ইতিমধ্যে ১১ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। আনুমানিক ২০ লাখ টাকা ব্যয় হবে, যা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্ত করেছি। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছেন।”

স্থানীয় প্রবীণ মোস্তফা সর্দার (৭৫) বলেন, “এটি শত বছরের পুরনো কবরস্থান। এই কবরস্থানকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ ছাড়াও বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়। পুকুরের পানিতে তলিয়ে গেলে কবরস্থানের চিহ্ন মুছে যেত। কিন্তু দিদারুল আলম দিদার বলল কাকা, কবরস্থান সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। আমরা তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।”

এ বিষয়ে মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, “কবরস্থানের ধসের ফলে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কবরস্থান সংস্কার করার। তবে খরচ অনেক বেশি হওয়ায় সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই। ইউএনও স্যার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু এখনো অর্থ পাইনি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দ্রুত ব্যবস্থা নিন।”

মসজিদ কমিটির সদস্য বদরৌদ্দোজা মিন্টু বলেন, “মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানটি শত বছরের পুরনো। সরকারি অনুদান না পেয়ে গ্রামবাসীর অর্থায়নে দুই মাস আগে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। অনুদান পেলে গাইডওয়ালের কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।”

মিমিয়া

×