
ছবি: সংগৃহীত
সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেনেড মারে। এখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আমরা এসব আগ্রাসন আর মেনে নেবো না। সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে। সেই বাহাদুরির দিন শেষ হয়েছে। সীমান্তে যদি আর কোনো ধরনের পাঁয়তারা করা হয়, আগ্রাসন করা হয়, আমার ভাইদের হত্যার চেষ্টা চালানো হয়, তাহলে আমরা সীমান্তে লং মার্চ ঘোষণা করবো। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করবো।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ চত্বর এলাকায় আয়োজিত পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সীমান্ত হত্যার কড়া সমালোচনা করে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, গণহত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ চেয়েছি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে কর্মসস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানের মানুষ শিক্ষায়, চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এই সকল অবহেলা ও বৈষম্য সকল জেলা থেকে দূর হবে সেই স্বপ্ন দেখি।
তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম ও রেশমের জন্য বিখ্যাত হলেও এসবকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে কিন্তু কোনো সরকার উদ্যোগ নেয়নি।
এর আগে, সকালে নওগাঁ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এনসিপির গাড়িবহর। পরে শহরের শান্তিমোড় থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। কলেজ চত্বর এলাকায় গিয়ে পথসভা করে দলটি। এছাড়া, ক্লাব সুপার মার্কেট এলাকায় উদ্বোধন করা হয় এনসিপির জেলা কার্যালয়। শেষে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দলটির গাড়িবহর।
এনসিপির কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশিরসহ শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
জাহিদ হাসান মাহমুদ মিম্পা/রাকিব