ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

তুর্কেমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে হারিয়ে মিশন শেষ করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:২০, ৫ জুলাই ২০২৫

তুর্কেমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে হারিয়ে মিশন শেষ করল বাংলাদেশ

ম্যাচ জয়ের পর মেয়েদের উচ্ছ্বাস, ছবি: সংগৃহীত

নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তুর্কেমেনিস্তানকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ইয়াঙ্গুনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে ৭-০ গোলে হারিয়ে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মিশন শেষ করল বাংলাদেশ। দুটি করে গোল করেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও ঋতুপর্ণা চাকমা। একটি করে গোলে করেছেন স্বপ্না রানী, মনিকা চাকমা ও তহুরা। এই ম্যাচে দাপুটে জয়ে বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে উঠে মেয়েরা।

শনিবার নিয়মরক্ষার ম্যাচেও সেরা একাদশ অপরিবর্তিত রাখলেন কোচ পিটার বাটলার। শতভাগ জয় দিয়ে উইমেন’স এশিয়ান কাপ বাছাই শেষের ম্যাচে যেন গোল বন্যা। ২১ মিনিটের মধ্যে ছয় গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন স্বপ্না রানী। তহুরা খাতুনের কাট ব্যাকে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে জালে বল জড়ান তিনি। দুই মিনিট পরই ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। সতীর্থের ক্রসে আফিঈদার হেড গোলকিপার ফেরানোর পর, বক্সে জটলার ভেতর থেকে নিখুঁত টোকায় জালে বল জড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র।

১৩ তম মিনিটে ডান দিক থেকে শামসুন্নাহার সিনিয়রের ক্রস ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক। আলগা বল জালে আটকান শামসুন্নাহার জুনিয়র। একটু পরই বক্সের ওপরে বল পেয়ে একটু এগিয়ে চোখ জুড়ানো শটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন মনিকা চাকমা। ১৭ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বলের লাইনে থাকা গোলরক্ষকের হাত ফসকে গোল হয়। এই গোলের পরই আইশা আমানবেরদুয়েভাকে তুলে পোস্ট আগলানোর দায়িত্ব এলনুরা মাকসুয়েতোভাকে দেন তুর্কমেনিস্তান কোচ।

কিন্তু এসেই গোল হজম করেন এলনুরা। আক্রমণ ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেলেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি। ছুটে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান ঋতুপর্ণা। গোলমুখ থেকে ছোট ছোয়ায় গোল করেন তহুরা। ৩৫তম মিনিটে ঋতুপর্ণার শট ক্রসবারের উপরের দিকে লেগে বেরিয়ে যায়। পাঁচ মিনিট পর বক্সের ঠিক ওপর থেকে এই ফরোয়ার্ডের বাম পায়ের শট গোলকিপারের গ্লাভসে লেগে জালে জড়ায়। বিরতির পর প্রতিরোধ গড়েছে তুর্কমেনিস্তান। বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও বাংলাদেশ আর গোলের দেখা পায়নি। ফলে ৭-০ ব্যবধানে জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে টাইগ্রেসদের। আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপের মূল আসর।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আট গ্রুপ রয়েছে। আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ সি গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচে পূর্ণ নয় পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ গোল দিয়েছে তিন প্রতিপক্ষকে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জালে শুধু মাত্র মিয়ানমার একবার বল পাঠিয়েছিল। এর আগের দুই ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে বাছাইপর্ব শুরুর পর শক্তিশালী মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার ইতিহাস আগেই গড়েছিল বাংলাদেশ।
 

 

ফয়সাল/ রাজু

×