
ছবি: সংগৃহীত
বিয়ের অনুষ্ঠানে খেতে যাবে পরিবারের সদস্যরা। এমন সময় বাড়ির পাশের রথযাত্রার মেলায় যাওয়ার বায়না ধরে ছোট শিশু। শত বুঝালেও বিয়ে বাড়িতে যেতে নারাজ সে। এক পর্যায়ে হাতে কিছু টাকা দিয়ে একা বাড়িতে রেখেই চলে যায় মা। কয়েক ঘণ্টা পর বাড়িতে এসে রান্না ঘরের দরজা খুলতেই দেখে আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে মেয়ের মরদেহ।
ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সাতপাড় গ্রামে। নিহত শিশু রাখি মজুমদার (৬) ওই গ্রামের ফার্নিচার শ্রমিক শিশির মজুমদারের মেয়ে। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
শনিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে রাজৈর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি রহস্যজনক বলছেন পুলিশ।
নিহতের স্বজন কালীদাস মজুমদার জানান, "শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এলাকার একটি বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায় রাখির পরিবারের লোকজন। পরে ফিরে এসে রান্না ঘরের দরজা খুলে রাখির মা। এসময় তাকে রান্নাঘরের চালের আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখতে পায়। দ্রুত গলার ওড়না খুলে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি। পরে মরদেহ বাড়িতে এনে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।"
তিনি আরও জানান, "সবাই চেয়েছিল বিয়ে বাড়ি থেকে খেয়ে এসে বাড়ির পাশের রথযাত্রার মেলায় যাবে। কিন্তু রাখি বায়না ধরেছিল দুপুর বেলাতেই মেলায় যাবে। কিছুতেই বিয়ে বাড়িতে যেতে রাজি হচ্ছিল না। তাই মেলায় যাওয়ার জন্য রাখিকে কিছু টাকা দিয়ে সবাই বিয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছিল। রাখির বাবা ঢাকায় থাকে এবং সেখানেই ফার্নিচার তৈরির কাজ করে।"
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান জানান, "ঘটনাটি সন্দেহজনক। তাই খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে শিশুটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
মুমু ২