ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

নরসিংদীতে সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় যুবদল নেতা মনির গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী

প্রকাশিত: ১৮:৩৮, ৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৮:৩৯, ৬ জুলাই ২০২৫

নরসিংদীতে সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় যুবদল নেতা মনির গ্রেফতার

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন একটি সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড কারখানার ড্রেজারে নদীপথে ২টি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে কারখানার শ্রমিকদের ৬টি কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপ ও মালামাল লুট করে নেয়। হামলায় অন্তত ৭ জন শ্রমিক আহত হন।

কারখানা সূত্রে জানা গেছে , হামলার নেতৃত্ব প্রদানকারী বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা যুবদল নেতা মনিরের অনুসারী। কিছুদিন আগে যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামান, স্থানীয় যুবদল নেতা বাদল মিয়া ও নজরুল মাস্টার এই কোম্পানির ড্রেজারের কাজ তাদেরকে দেওয়ার দাবী করেন। কিন্তু মালিক পক্ষ নিজেরাই কাজ করার কারণে তাদেরকে নিষেধ করে দেন। এরপর তারা সেখানে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় এই হামলাট ঘটনা ঘটায় বলে তাদের অভিযোগ ।

গত ৩ জুলাই হামলার ঘটনায় পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানতে চাইলে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা কনফিডেন্স সিমেন্ট ফ্যাক্টরির এজিম (প্রশাসন ও বিধিনিয়ন্ত্রণ শাখা) মাহবুবুর রহমান বলেন, "আমাদের ওপর হামলা করে অফিস ভাঙচুর, মারধোর, লুটপাট ও চাঁদা দাবির ঘটনা আমাদের ঢাকা অফিসকে জানিয়েছি । এরপর কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকো থানায় মামলা করা হয়।এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মামলার প্রধান আসামি ও ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরকে গ্রেপ্তার করে।

এলাকাবাসী বলছে, মনির হোসেন স্থানীয়ভাবে একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আগে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন একটি সিমেন্ট কারখানায় হামলা- ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে পলাশ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন । সেই মামলায় এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি মনিরুজ্জামানকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় নরসিংদী সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আদালতে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 
 

রিফাত

×