
ছবি: জনকণ্ঠ
শারীরিক শিক্ষা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কেবল শরীরচর্চা বা খেলাধুলাই নয়, বরং শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়ক। শারীরিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সুস্থ, সবল ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
শারীরিক সুস্হতাঃ নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের কার্যকারিতা বাড়ায়, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।
মানসিক স্বাস্থ্য: শারীরিক শিক্ষা মানসিক চাপ কমাতে, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা দূর করতে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।
সামাজিক বিকাশ: খেলাধুলা এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে সহযোগিতা, নেতৃত্ব, দলবদ্ধভাবে কাজ করা এবং সামাজিক নিয়ম-কানুন শেখা যায়।
বৌদ্ধিক বিকাশ: শারীরিক শিক্ষা মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
চরিত্র গঠন: শারীরিক শিক্ষা আত্ম-শৃঙ্খলা, অধ্যবসায়, এবং দায়িত্ববোধের মতো গুণাবলী বিকাশে সাহায্য করে।
জীবন দক্ষতা অর্জন: খেলাধুলা এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান, কৌশল তৈরি, এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো জীবন দক্ষতা অর্জন করা যায়।
শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশ: শারীরিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়তা করে একটি সুষম জীবন গঠনে সাহায্য করে।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: শারীরিক শিক্ষায় বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ থাকে।
শিক্ষার্থীদের আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি: শারীরিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের নিজেদের শরীর সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং আত্ম-মর্যাদাবোধ তৈরিতে সাহায্য করে।
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করা: শারীরিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সুস্থ, সবল এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।
সবশেষে বলা যায় শারিরীক শিক্ষা শুধু শারিরীক নয় ইহা মানসিক,সামাজিক বিকাশ,চরিএ গঠন,জীবন দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও আত্ন সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।তাই প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি শারীরিক শিক্ষার সুযোগ অপরিসীম।
মোঃ আমির হোসেন, সহকারী শিক্ষক (স্বাস্থ্য সুরক্ষা), আলহাজ্ব মোঃ ইসমাইল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, জাজিরা, শরীয়তপুর।
শহীদ