ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

লাল পিকচার এর স্বপ্নদ্রষ্টা ছাত্রদলের নাসির ও ছাত্রশক্তির নুরুল ইসলাম নাহিদ যৌথভাবে, বিতর্কের অবসান হোক: শাহেদ আলম

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২৩:০০, ৬ জুলাই ২০২৫

লাল পিকচার এর স্বপ্নদ্রষ্টা ছাত্রদলের নাসির ও ছাত্রশক্তির নুরুল ইসলাম নাহিদ যৌথভাবে, বিতর্কের অবসান হোক: শাহেদ আলম

প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়ে বলেছেন, লাল পিকচার এর স্বপ্নদ্রষ্টা ছাত্রদলের নাসির- ছাত্রশক্তির নুরুল ইসলাম নাহিদ এর যৌথভাবে। বিতর্কের অবসান হোক। 

শাহেদ আলম যেই স্ট্যাটাসটি শেয়ার দিয়েছেন সেটি এনসিপি নেতা রিফাত রশিদের, স্ট্যাটাসটিতে লেখা ছিল, প্রোফাইল পিকচার লাল করা/চোখে মুখে লাল কাপড় বাধা কর্মসূচির পেছনের গল্পঃ প্রোফাইল পিকচার লাল/চোখে মুখে লাল কাপড় বাধা কর্মসূচিটা আইকনিক ছিলো, ফ্যাসিবাদের পক্ষের আর বিপক্ষের শক্তি সকলের কাছে স্পষ্ট হয়। সেদিন এই কর্মসূচি কিভাবে এলো সেই গল্পটাও বলি। হাসিনা ৩০ জুলাইয়ে জুলাইয়ের শহীদ আহতদের স্মরণে শোক দিবস ঘোষণা করে। এই ব্যপারটা ছিলো প্রচন্ড রকম প্রহসনের।

এইদিন কি কর্মসূচি দেয়া যাবে সেইটা নিয়ে ভাবছিলাম আমরা। প্রোগ্রামের কনসেপ্ট হবে হাসিনার শোক কর্মসূচিকে প্রত্যাখ্যান করা। প্রাথমিকভাবে আমি প্রস্তাব করেছিলাম, হাসিনার লোকজন কালো ব্যাজ ধারনের আহ্বান জানাইছে, আমরা মুখে আর চোখে কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ জানাবো। মুখে কাপড় বাধা মানে বাক স্বাধীনতা হরণ আর চোখে কালো কাপড় বাধা অর্থ এতো এতো গণহত্যাকে চোখ বন্ধ করে মানুষের থেকে আড়াল করার ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ। এইটা প্রাথমিক আইডিয়া হিসেবে নিয়ে আমরা সবগুলো স্টেকহোল্ডারদের সাথে মিটিং করা শুরু করি।

মিটিং এর আগেই ছাত্রদলের নাসির ভাই কাদের ভাইকে প্রস্তাব করেছিলো, হাসিনার লোকজন কালো ব্যাজ ধারণ করবে আর আমরা তার বিপরীতে গিয়ে লাল ব্যাজ ধারন করবো। মিটিং এ আবারও যখন উনি সেইম কথা বলেন তখন মাহিন ভাই বলে বসেন যে, তাইলে আমরা এক কাজ করতে পারি। চোখে-মুখে কালো কাপড় না বেধে লাল কাপড় বাধতে পারি। আর জুলাইয়ের রঙ লাল। তখন কাদের আর মাসুদ ভাইও বলেন যে, যদি আমরা কালো কাপড় ইউজ করি তাহলে হাসিনার লোকজন গুজব প্রচার করবে যে আমরা ওদের শোক দিবস পালন করতেসি। কালার আলাদা হইতে হবে। তখন ডিসিশন ফাইনাল হয় যে আমরা চোখেমুখে লাল কাপড় বাধবো। এই ডিপি আপলোড করার সময় কিছু হ্যাশট্যাগ ইউজের প্রস্তাব করে শিবিরের সাইমুম ছদ্মনামের একজন। তখন আমরা বলি সম্ভাব্য কি কি হ্যাশট্যাগ দেয়া যায় সেইটার একটা তালিকা প্রস্তাব করতে বলি। তারা সেটা পাঠায়ও।

এরপরেই চোখেমুখে লাল কাপড় বাধার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এবার আসি ডিপি লাল করার ব্যপারটায়।এইটা হইসে একটা অর্গানিক জিনিস। এই ডিপি লাল প্রথম করে আমাদের ২১-২২ এর ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া ছাত্রশক্তির ছোটভাই নুরুল ইসলাম নাহিদ। ও এই আইডিয়াটা মূলত পাইছিলো পরিষদে থাকাকালে আমরা হাসিনার কোনো ব্যপারকে প্রত্যাখ্যান করতে লালকার্ড প্রদর্শনী প্রোগ্রাম করতাম প্রায়শই সেখান থেকে। লাল কাপড় চোখেমুখে বাধা কঠিন হওয়ায় ঠিক ১২ টায় 'শোক দিবসকে লালকার্ড দেখিয়ে দিলাম' টাইপের একটা ক্যাপশন দিয়ে আপলোড করে দেয়। ওইটা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কপি করা শুরু করে, আমরাও এপ্রিশিয়েট করেছিলাম কারণ কাপড় চোখেমুখে বাধা সবার জন্য কঠিন হইলেও ডিপি লাল করাটা ইজিয়ার।

রাত একটা বাজতে বাজতে চোখেমুখে লাল কাপড় বাধার ব্যপারটার চেয়েও ডিপি লাল করাটা ট্রেন্ডে চলে আসে আর আমরাও সেলিব্রেট করি। সবাইকে আহ্বানও জানাই ডিপি লাল করার জন্য। আর এই কর্মসূচিই আমাদের পক্ষ আর বিপক্ষের শক্তিকে আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দেয়। দ্যাটস দ্যা একচুয়াল হিস্ট্রি অব "ডিপি লাল করার কর্মসূচি।" একতোলাও ভেজাল নাই।

 
 

রিফাত

আরো পড়ুন  

×