
ছবি: জনকণ্ঠ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় দীর্ঘ ২১ বছর পর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে তৃণমূল নেতারা তাদের ব্যালটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করেছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে গোলাম রব্বানী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন পাইকার নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে ফৌজিয়া আক্তার কনা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুমন সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে উপজেলার মিঠাপুকুর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। দিনব্যাপী ভোট সংগ্রহ ও ভোট গণনা শেষে আনুমানিক রাত ৯টার সময় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম।
এ নির্বাচনে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মোট ১২০৭ জন নির্ধারিত ভোটার নেতা নির্বাচন করেন। তাদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সভাপতি পদে দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি পদে গোলাম রব্বানী (ছাতা প্রতীক) ৭৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজেদুর রহমান রানা (চেয়ার প্রতীক) পেয়েছেন ৩৮৯ ভোট।
সহ-সভাপতি ফৌজিয়া ইয়াসমিন কনা (মই প্রতীক) ৬৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন পাইকার (ফুটবল প্রতীক) ৮৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান লর্ড (চশমা প্রতীক) পেয়েছেন ২৯৪ ভোট।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে নাজমুল হক ইমন (হরিণ প্রতীক) ৬৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সামজিদুল হক (সুমন সরকার)।
উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) মো. আব্দুল খালেক।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম এবং রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আনিছুর রহমান লাকু।
মুমু ২