ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

স্বামীদের ডিপ্রেশন বা হতাশার কারণ যখন স্ত্রী!

প্রকাশিত: ২০:০৩, ৬ জুলাই ২০২৫

স্বামীদের ডিপ্রেশন বা হতাশার কারণ যখন স্ত্রী!

ছবিঃ সংগৃহীত

সাধারণত সমাজে আমরা দেখে থাকি, নারীরাই বেশি নির্যাতনের শিকার হন। কিন্তু বাস্তবতা হলো—মুদ্রার যেমন দুটি পিঠ, তেমনি সম্পর্কেও দুপক্ষেরই ভূমিকা থাকে। আজকাল মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের চেম্বারে দেখা যাচ্ছে, অনেক পুরুষও তাদের স্ত্রীর দ্বারা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সমাজে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার দাবি রাখে।

সম্পর্ক মানে শুধু ভালোবাসা বা দায়িত্ব নয়—এটি একটি পারস্পরিক বিনিয়োগের বিষয়। দুইজন মানুষ ভিন্ন দুটি পরিবেশ থেকে এসে একসঙ্গে জীবন শুরু করেন। এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি এবং নিরবিচার যোগাযোগ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক স্বামী স্ত্রীর কাছ থেকে ক্রমাগত মানসিক অত্যাচার, অসম্মান এমনকি শারীরিক নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছেন। এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে তারা ডিপ্রেশন, এংজাইটি এমনকি আত্মবিশ্বাস হারানোর মতো ভয়াবহ সমস্যায় ভোগেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক স্বামী এখন মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন যে, তারা দাম্পত্য জীবন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন, কেউবা স্ত্রীর ভয়ে আলাদা রুমে ঘুমাচ্ছেন। সবশেষে এ সম্পর্ক এমন এক পর্যায়ে চলে যায়, যেখানে একসঙ্গে থাকলেও তারা আলাদা জীবন যাপন করছেন—যার চূড়ান্ত মূল্য দিতে হয় সন্তানদেরকেও।

এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে, সম্পর্কের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ (Gratitude) থাকা অত্যন্ত জরুরি। একজন স্বামী হোক কিংবা স্ত্রী, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশংসা, সম্মান, বিশ্বাস ও ভালোবাসা জরুরি। সম্পর্ক একবার শুরু করলেই সেটি আপনাআপনি চলবে না—নিয়মিতভাবে সেটি ‘রিনিউ’ করতে হয়, যেমন গাড়ির লাইসেন্স।

মূল পরামর্শ:

  • স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই সম্পর্কের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে

  • নির্যাতন যে পক্ষই করুক, সেটি বন্ধ করতে হবে

  • সম্পর্ককে সুস্থ রাখতে নিয়মিত যোগাযোগ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জরুরি

  • প্রয়োজনে পেশাদার কাউন্সেলিং গ্রহণ করতে হবে

একজন জীবনসঙ্গী শুধু একটি সম্পর্ক নয়, একজন সন্তানের অভিভাবকও। তাকে সম্মান না করলে সম্পর্কেও ভাঙন ধরবে, সমাজেও। তাই দাম্পত্য জীবনে কেবল অধিকার নয়, দায়িত্বও ভাগ করে নিতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়—ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে হলে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা হতে হবে দুই দিক থেকেই। তাহলেই সুস্থ, সুন্দর দাম্পত্য সম্ভব।

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/15pQCLderQ/

ইমরান

×