
দাবানলের আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা
ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার তিন শতাধিক দমকলকর্মী লড়াই চালিয়ে গেছেন। এদিকে গ্রীষ্মে দাবানলের আশঙ্কায় থাকা এই সময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু দুর্যোগ মোকাবিলায় নিয়োজিত বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থার বাজেট ও জনবল ছাঁটাই করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে এএফপি জানায়, মাদ্রে ফায়ার নামের এই আগুনটি বৃহস্পতিবার সান লুইস ওবিসপোতে ছড়িয়ে পড়ে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি পাহাড়ি এলাকা। আগুনের হুমকিতে অন্তত ২০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুনে অনেক ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এটাই এ বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বড় দাবানল। খবর সিএনএনের।
এই বছরের শুরুতেও দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাজ্যের ফায়ার সার্ভিস ক্যাল ফায়ারের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ৫২ হাজার একর (প্রায় ২১ হাজার হেক্টর) এলাকাজুড়ে। রাজ্যের সতর্কতা ব্যবস্থার ছবিতে দেখা যায়, পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় কালো ধোঁয়ার ঘন স্তম্ভ আকাশ ঢেকে দিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লিখেছেন, রাজ্য সবসময়ই সব মানুষের সুরক্ষায় পাশে থাকবে। আগুন যেখানেই লাগুক না কেন। তিনি আরও জানান, নতুনভাবে দমকল বাহিনীর শক্তি বাড়ানো হয়েছে। মাদ্রে ফায়ারের আগেও রাজ্যজুড়ে বেশ কয়েকটি বড় আগুন ছড়িয়েছে। এতে আগামী গ্রীষ্মে ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। জানুয়ারিতে দাবানলে ৩০ জনের মৃত্যুর ক্ষত এখনো ভুলতে পারেনি রাজ্যটি। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় এবার শীত ও বসন্ত ছিল অস্বাভাবিকভাবে শুষ্ক। ফলে গাছপালা আগেই শুকিয়ে গেছে। এক ব্লগপোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন ইউসিএলএর চরম আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল সোয়াইন। সোয়াইন বলেন, এবারের গ্রীষ্মে আরও বেশি তাপদাহ ও বিস্তৃত এলাকায় প্রচণ্ড গরমের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এক-দুই মাস আগে থেকেই গাছপালা শুকিয়ে যাওয়ায় মৌসুমের বাকি সময়টায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।
প্যানেল