
ছবি: সংগৃহীত
সম্পর্কের সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত্তি হলো বিশ্বাস। কিন্তু সেই বিশ্বাসে যদি চিড় ধরে, বিশেষত পরকীয়ার মতো বিষয় সামনে আসে, তখন সম্পর্ক ভেঙে পড়তে পারে একেবারে ভিতর থেকে। অনেক নারী সন্দেহ করেন কিন্তু নিশ্চিত হতে পারেন না—স্বামী সত্যিই পরকীয়ায় জড়িয়েছেন কিনা।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছু আচরণগত পরিবর্তন ও লক্ষণ দেখে আন্দাজ করা সম্ভব—আপনার সঙ্গী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন কি না।
১. আচমকা গোপনীয়তা: ফোন ও অনলাইন ব্যবহারে অস্বাভাবিক সতর্কতা
আপনার স্বামী যদি হঠাৎ করে ফোন লুকিয়ে ব্যবহার করেন, মেসেজ-কল ডিলিট করেন বা আপনার সামনে ফোন ধরতে না চান—তবে তা সন্দেহের জায়গা হতে পারে। ওয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকে লক দিয়ে রাখা, লেট-নাইট চ্যাট কিংবা অলস সময়েও ফোনে ব্যস্ত থাকা—পরকীয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
২. চেহারা ও পোশাকে অতিরিক্ত সচেতনতা
আগে যিনি নিজের সাজসজ্জা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতেন না, তিনি হঠাৎ যদি নিজের পোশাক, চুল, পারফিউম বা জিমে যাওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে ওঠেন, তা হতে পারে নতুন কারো প্রভাব। বিশেষ করে যদি এসব পরিবর্তনের পেছনে কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা না থাকে।
৩. সময়ের হিসাব গড়মিল, অফিসের ‘ওভারটাইম’ বেড়ে যাওয়া
‘অফিসে কাজ আছে’, ‘বন্ধুদের সঙ্গে দেখা’, ‘ফোন সাইলেন্ট ছিল’—এ ধরনের অজুহাত যদি বাড়তে থাকে, আর সময়ের হিসাব মেলে না, তবে তা অস্বাভাবিক। দেরিতে ঘরে ফেরা, ছুটির দিনেও বাইরে বেশি সময় কাটানো কিংবা হঠাৎ ঘনঘন একা ভ্রমণ—সবই পরকীয়ার আভাস দিতে পারে।
৪. আচরণে দূরত্ব ও যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া
যখন একজন পুরুষ মানসিক বা শারীরিকভাবে অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হন, তখন সংসারজীবনে আগ্রহ কমে যেতে পারে। তিনি হয়তো কম কথা বলেন, যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলেন, অথবা অকারণে রেগে যান—এসবই দাম্পত্য সম্পর্কে ইঙ্গিতবাহী পরিবর্তন।
কি করবেন এই লক্ষণগুলো দেখলে?
সরাসরি না দোষারোপ করে সংলাপে বসুন
নিজের অনুভূতির কথা বিনয়ীভাবে বলুন
প্রয়োজনে পারিবারিক কাউন্সেলিংয়ে যান
নিজেও আত্মসম্মান ও আত্মনির্ভরতা বজায় রাখুন
সব সম্পর্কেই ওঠানামা থাকে। তবে চারটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন—হঠাৎ গোপনীয়তা, সাজসজ্জায় পরিবর্তন, সময়ের হিসাব গড়মিল ও আবেগগত দূরত্ব—পরকীয়ার লক্ষণ হতে পারে। তবে তা নিশ্চিত হওয়ার আগে সংলাপ ও সহমর্মিতা গুরুত্বপূর্ণ।
ফারুক