ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া স্বাভাবিক নাকি ইনসমনিয়া? জানুন সমাধান!

প্রকাশিত: ০২:১৯, ৬ জুলাই ২০২৫

রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া স্বাভাবিক নাকি ইনসমনিয়া? জানুন সমাধান!

একজন মানুষের সুস্থ থাকার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো পর্যাপ্ত ঘুম। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুম শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে বয়স অনুযায়ী ঘুমের চাহিদা ভিন্ন হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণবয়স্কদের দিনে ৭-৮ ঘণ্টা, শিশুদের ৯-১৩ ঘণ্টা এবং নবজাতকদের ১২-১৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, টক্সিন দূর করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়। অর্থাৎ, পরবর্তী দিনের শক্তি ও মানসিক দক্ষতা অনেকাংশেই নির্ভর করে রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের ওপর।

ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার ভয়ঙ্কর প্রভাব

রাতে ঘুম না আসা বা ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়াকে বলা হয় ইনসমনিয়া। এর ফলে দিনের বেলা ঝিমুনি, কাজে মনোযোগের অভাব, খিটখিটে মেজাজ ও বিষণ্নতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ- সবারই ইনসমনিয়া হতে পারে।

হার্ভার্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়ে যায়। এক গবেষণা বলছে, ১৭-১৯ ঘণ্টা একটানা জেগে থাকলে মস্তিষ্কে যেভাবে প্রভাব পড়ে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়।

অধ্যাপক ওয়াকার তার বই হোয়াই উই স্লিপ’-এ লিখেছেন, “বিশ্বের একটি বিশাল অংশ অন্ধকারে জেগে থাকে। তারা ভাবে না যে, যে ঘুম নষ্ট হলো, সেটি পূরণ করা দরকার।”

ইনসমনিয়া দূর করার ৭টি ঘরোয়া উপায়

১. রাত জেগে কাজ বন্ধ করুন
রাত জেগে কাজ করা মানুষেরা দিনের বেলা ঘুমিয়ে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, যা শরীরের জন্য যথেষ্ট নয়। রাতে ঘুমের বিকল্প দিনে ঘুম নয়।

২. ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা শরীরের ঘুমের চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আনে।

৩. চা-কফি এড়িয়ে চলুন
রাতে ঘুমানোর অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে চা-কফি ও অন্যান্য কোমল পানীয় পান করা বন্ধ করুন।

৪. মোবাইল-ল্যাপটপ দূরে রাখুন
ঘুমানোর আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে, ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

৫. ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার
ম্যাগনেসিয়াম পেশি শিথিল করে ঘুম আনতে সাহায্য করে। ডার্ক চকোলেট, বাদাম, অ্যাভোকাডো খাবারে রাখুন।

৬. মেলাটোনিনসমৃদ্ধ খাবার
টমেটো, শসা, আখরোট ও বেদানার মতো খাবারে মেলাটোনিন থাকে, যা ঘুম আনতে সহায়ক।

 ৭. গরম দুধ ও মধু
গরম দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান এবং মধু ঘুমের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে।

মিমিয়া

×