
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আঞ্চলিক শিক্ষার অগ্ৰদূত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আজ উদযাপন করল ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই তার কার্যক্রম শুরু থেকে আজ পর্যন্ত—উচ্চ শিক্ষার অঙ্গনে রাবির অবদান ও অভিযাত্রা অনন্য।
প্রতিষ্ঠার প্রথম দিনে এতিম সার্কিট হাউস, বোরো কুঠি, রাজশাহী কলেজের ভাড়া ভবনে মাত্র ছয়টি বিভাগে ১৬১ শিক্ষার্থী নিয়ে সূচনা হয়। পরে ধাপে ধাপে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান মতিহার প্রাঙ্গণে স্থানান্তরিত হয়, যেখানে এখন এটি বাংলাদেশের সবুজ ও আধুনিক ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত।
বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য মোট বরাদ্দ প্রায় ৫৬৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে গবেষণা বরাদ্দ মাত্র ১৫ কোটি টাকা। অথচ প্রশাসনিক ও কর্মী বেতন-ভাতার জন্য বাজেটের ৭৬.৫ শতাংশই নির্ধারিত।
এই উদযাপন উপলক্ষে রাবিতে শিক্ষার্থী, প্ররোচক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ‘৭২তম প্রতিষ্ঠা দিবসে রাবি’ শীর্ষকে এক সেমিনারে উঠে এসেছে শিক্ষাবর্ষে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সেবার মান বৃদ্ধির দাবি। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তা, দীর্ঘ লাইব্রেরি কার্যক্রম, ল্যাব-সিকিউরিটি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ বৃদ্ধির প্রত্যাশাও প্রকাশ পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য বলেন, “৭২ বছর পূর্তিতে প্রতিষ্ঠান এখনো স্বতন্ত্র, আধুনিক ও গর্বিত অবস্থান গড়ে তুলতে বাকি কাজ অনেক। গবেষণার উন্নয়নের পাশাপাশি প্রশাসনীক স্বচ্ছতা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার আধুনিকীকরণে আমরা কাজ করছি।”
রাবি দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ভাষা অধিকার সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে—১৯৬৯ সালের অধ্যাপক শামসুজ্জোহা রাসহীদ শহীদ হয়েছিলেন। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আজও বিশ্ববিদ্যালয় তার সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে সজীবভাবে অংশ নিচ্ছে।
৭২তম জন্মবার্ষিকীটি কেবল ইতিহাসের গৌরব নয়, বরং স্ব-আ্যজ্ঞ ও প্রগতির পথে রাবির নতুন মাইলফলক। প্রশাসন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ঐকমত্যে একসাথে অগ্রযাত্রা থাকলেই আগামী ৭০ বছরের বেশি পথ হাঁটার প্রত্যয় প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়তর হবে।
আঁখি