ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

সংস্কারের নামে বেহাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ

ইকবাল মাহমুদ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় 

প্রকাশিত: ১১:৪০, ৬ জুলাই ২০২৫

সংস্কারের নামে বেহাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ

ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটির সংস্কার কাজ ধীরগতিতে চলায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। মাঠের উন্নয়ন কাজ শুরুর প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও দেখা যাচ্ছে না অগ্রগতি।

জানা যায়, গত ৯ মে মাঠটি সংস্কারে তিন মাস মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে প্রশাসন। ঠিকাদারকেও নির্দেশনা দেওয়া হয় একইভাবে। তবে প্রথম দিকে আগাছা পরিষ্কারসহ প্রাথমিক কাজ যথাসময়ে হলেও, পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি বালি ফেলার কাজ। মে মাসের মধ্যে ২২০টি ট্রাক বালি ফেলার কথা থাকলেও এখন পর্যন্তও শেষ হয়নি কাজ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—প্রশাসনের তদারকির ঘাটতি, কাজের গাফিলতি এবং মাত্র ২-৩ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ চালানো—এসব কারণেই সংস্কার কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠ হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত খেলাধুলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানোয়ার রাব্বি প্রমিজ বলেন, “আমরা চেয়েছি একটি ভালো মাঠ, যেখানে খেলাধুলার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকবে। কিন্তু কাজের গতি অত্যন্ত ধীর। প্রথমে ঠিকঠাক চললেও মাঝপথে কেন থেমে গেল, তা বোধগম্য নয়। বাস্তবায়নে তদারকির অভাব রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল আগস্টের মধ্যভাগে শেষ হবে কাজ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ মে ছুটিতে গেলে বালি ফেলার কার্যক্রম বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১৪ জুন ছুটি শেষে কাজ পুনরায় শুরু হবে। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ অগ্রগতি দেখা যায়নি।

পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, “বর্ষায় যেসব হাট থেকে বালি উত্তোলন হয়, সেগুলো বন্ধ থাকায় ঠিকাদার সময়মতো বালি সংগ্রহ করতে পারেনি। তবে এখন কাজের গতি বাড়ছে। টানা বৃষ্টিতে অসুবিধা হলেও আমরা মাঠে উপস্থিত থেকে কাজ তদারকি করছি। আশা করি, শিগগিরই সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।”

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, “প্রকৃতপক্ষে বৃষ্টির কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে। পরে আমরা তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য তাগিদ দিই। প্রথম ধাপে ২২০টি ট্রাক বালি ফেলার কাজ জুলাইয়ের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে দৃশ্যমান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মাঠ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে।”

নোভা

×