ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

বাজেটের অভাবে অরক্ষিত ইবির সীমানা প্রচীর

নিজস্ব সংবাদদাতা, ইবি

প্রকাশিত: ০০:০০, ৬ জুলাই ২০২৫

বাজেটের অভাবে অরক্ষিত ইবির সীমানা প্রচীর

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

সংস্কারের অভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সীমানা প্রাচীর অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। যার ফলে অবাধে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে বিচরণ করছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রাচীর মেরামত হচ্ছে না বলে করছেন তারা। এদিকে বাজেটের অভাবে এগুলো সংস্কার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু অংশের সীমানা প্রাচীর একেবারেই নিচু। চাইলেই যে কেউ ঢুকে পড়ছে খুব সহজে। কোথাও গ্রিল নেই, তো কোথাও দেয়ালের অর্ধেক নেই। আবার কোথাও কোথাও ধসে পড়েছে পুরো সীমানা প্রাচীর। শাহ আজিজুর রহমান হল পকেট গেটের পূর্বপাশে প্রাচীরের একটা বড় অংশ ধ্বসে পড়েছে পুকুরে। মীর মুগ্ধ সরোবরের পুরো দেয়ালটায় তুলনামূলক নিচু, আবার এক জায়গায় একেবারেই নেই। হরহামেশাই ঢুকে পড়ছে বাইরের লোকজন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই এসকল এলাকাকে নিজেদের জন্য অনিরাপদ বলে অভিযোগ করেছেন। বিশেষত নারী শিক্ষার্থীরা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন।

শঙ্কা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রাচীর ভাঙ্গা থাকার কারনে খুব সহজেই চোর প্রবেশ করতে পারে। যার ফলে মাঝে মাঝেই এ ক্যাম্পাসে চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও অবাধে বহিরাগতরা চলাফেরা করে যা আমাদের নিজেদের কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অতিদ্রুত সীমানা প্রাচীর মেরামত করে ক্যাম্পাস জুড়ে নিরাপত্তা আরো জোরদার করে।

এ বিষয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা জানান, আমাদের কাজ গেইটে নিরাপত্তা দেওয়া। আমরা যথেষ্ট নিষ্ঠার সাথে আমাদের দায়িত্ব পালন করি। তবে প্রাচীরের ভাঙা অংশ দিয়ে কে কখন কীভাবে প্রবেশ করে সেটা আমাদের সবসময় নজর রাখতে কষ্ট হয়ে যায়। আমরা চাই, প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দিয়ে যেনো দ্রুত এর সমাধান দেয়।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, শাহ আজিজুর রহমান হলের পূর্ব পাশে জলাশয় থাকার কারণে বারবার প্রাচীর ধ্বসে যায়। উপাচার্য নিজে বিষয়টি সরেজমিনে দেখেছেন। নতুন বাজেট হলে সীমানা প্রাচীর সংস্কার করা হবে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে সীমানা প্রাচীর মেরামতের জন্য আবেদন জানিয়েছি। পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় কাজ শুরু হয়নি। পরবর্তীতে প্রশাসন বাজেট দিলে আমরা সীমানা প্রাচীর মেরামতের কাজ শুরু করবো।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই অর্থবছর শেষ হওয়ায় সীমানা প্রাচীর মেরামতের জন্য বাজেট নেই। নতুন অর্থবছরে নতুন করে বাজেট পাশ হলে ধসে যাওয়া ও নিচু প্রাচীরের কাজ শুরু করবো। নতুন বছরে এটিকে আমরা মেগা প্রকল্প হিসেবে নিব।

মিরাজ খান

×