ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

সকালে ভেজানো কিশমিশ খেলেই মিলবে যে ৭ উপকার!

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ৩ জুলাই ২০২৫

সকালে ভেজানো কিশমিশ খেলেই মিলবে যে ৭ উপকার!

ছবিঃ সংগৃহীত

সকালের শুরুটা যদি স্বাস্থ্যকর হয়, পুরো দিনই যেন ভালো যায়। আর এ জন্য সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস হতে পারে দারুণ এক উপকারি স্বাস্থ্য টিপস। ছোট এই শুকনো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক চিনি, যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দারুণ কার্যকর।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে ভেজানো কিশমিশ খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়:

১. হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও কপার, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমায় এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে।

২. হজমশক্তি বাড়ায়
ভেজানো কিশমিশে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত কিশমিশ খেলে ভাইরাসজনিত অসুস্থতা থেকে বাঁচা যায় সহজেই।

৪. হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
কিশমিশে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হার্টের জন্য উপকারী।

৫. ত্বক উজ্জ্বল করে
ভেজানো কিশমিশ খেলে শরীরের ভেতরের টক্সিন কমে যায়, যার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। এটি ত্বককে উজ্জ্বল, নরম ও ব্রণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

৬. হাড় মজবুত করে
কিশমিশে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও বোরন, যা হাড়কে শক্তিশালী করে। বিশেষ করে নারীদের হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর।

৭. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ওজন কমায়
ভেজানো কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে অযথা খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কীভাবে খাবেন?
রাতে ঘুমানোর আগে ৮-১০টি কিশমিশ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে কিশমিশগুলো চিবিয়ে খান এবং সেই পানিটিও খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে খেলে এক মাসেই মিলতে পারে চোখে পড়ার মতো উপকার।

বিশেষ সতর্কতা: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কিশমিশের পরিমাণ নির্ধারণ করে খাওয়া উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আলীম

×