ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্র বনাম যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা, কোনটা আপনার জন্য সেরা? 

প্রকাশিত: ০১:৫৯, ৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০২:০০, ৪ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র বনাম যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা, কোনটা আপনার জন্য সেরা? 

ছবি: সংগৃহীত।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অনেকের। তবে যুক্তরাষ্ট্র (USA) আর যুক্তরাজ্য (UK)—এই দুই দেশের মধ্যে কোথায় পড়া ভালো, তা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী দ্বিধায় থাকেন। কোর্সের সময়কাল, খরচ, ভিসা নিয়ম, কাজের সুযোগসহ বেশ কিছু বিষয়ের ভিত্তিতে তুলনামূলকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

কোর্সের সময়কাল:
যুক্তরাজ্যে সাধারণত স্নাতক কোর্স শেষ করতে সময় লাগে ৩ বছর এবং মাস্টার্স ১ বছরে শেষ হয়। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক কোর্স ৪ বছর এবং মাস্টার্স কোর্স শেষ হতে লাগে ২ বছর।

টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার খরচ:
মোট জীবনযাত্রার খরচ যুক্তরাজ্যে তুলনামূলকভাবে কম। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ বেশি ও নমনীয়, যা খরচ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

ছাত্র ভিসা ও পোস্ট-স্টাডি সুযোগ:
যুক্তরাজ্যে এখন গ্র্যাজুয়েট রুট ভিসা পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা ২ বছর এবং পিএইচডি শেষ করা শিক্ষার্থীরা ৩ বছর যুক্তরাজ্যে থাকতে ও কাজ করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে OPT (Optional Practical Training) প্রোগ্রাম, যা STEM বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত কাজের অনুমতি দেয়।

অংশকালীন কাজের সুযোগ:
দুই দেশেই শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা করে কাজ করার অনুমতি পান। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাম্পাসভিত্তিক কাজের ধরন ও পরিসর তুলনামূলকভাবে বেশি।

শিক্ষাব্যবস্থা ও কোর্সের নমনীয়তা:
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোর্স স্ট্রাকচার নমনীয় এবং আপনি চাইলে মাঝপথে মেজর বদলাতে পারেন।
যুক্তরাজ্যে কোর্সগুলো প্রথম দিন থেকেই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিশেষায়িত থাকে, ফলে যারা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পড়তে চান, তাদের জন্য উপযোগী।

চাকরি বাজার ও স্থায়ী আবাসনের সুযোগ:
যুক্তরাজ্যে পোস্ট-স্টাডি ভিসা ও চাকরি পাওয়ার পর স্থায়ী বসবাসের (Permanent Residency) পথে এগোনো তুলনামূলক সহজ।
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড পাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ, জটিল এবং প্রতিযোগিতামূলক।

আপনার আগ্রহ, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, পছন্দের সাবজেক্ট এবং বাজেট—এই কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা উচিত।
শুধু দেশ নয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা ও কাঠামো নিয়ে গবেষণা করুন।

স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে হলে দরকার তথ্য ও আগ্রহের সমন্বয়। বিদেশে পড়ার পথটা হোক আপন লক্ষ্যের দিকে এক সাহসী যাত্রা।

মিরাজ খান

×