ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

পরিবেশ উপদেষ্টা

জলবায়ু মোকাবিলায় সুইডেন সহায়তা করছে

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ৪ জুলাই ২০২৫

জলবায়ু মোকাবিলায় সুইডেন সহায়তা করছে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু মোকাবিলা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সুইডেনের সহায়তায় গ্রহণ করা হচ্ছে বিশেষ প্রকল্প।
বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘স্ট্রেংথেনিং ক্যাপাসিটি অব এমওএফইসিসি, ডিওই, অ্যান্ড বিএফডি ফর ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্রুভড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তি গ্রহণকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অনুদান চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন এ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) ড. একেএম শাহাবুদ্দিন ও ঢাকার সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও সহযোগিতা প্রধান মারিয়া স্ট্রিডসম্যান।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, সুইডেন সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা সিডার অর্থায়নে গৃহীত নতুন প্রকল্প বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নত হবে। প্রকল্পটি পরিবেশগত ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী পদক্ষেপের মাধ্যমে কাজ করবে। তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার উন্নত তদারকি, বৃহৎ পরিসরে পরিবেশ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ও দেশের প্রথম ‘ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সিডার অনুদানে ৫০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ব্যয়ে পরিচালিত এই প্রকল্প তিনটি প্রধান উপাদানের ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হবে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে, যার আওতায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। 
সূত্রটি আরও জানায়, এর অংশ হিসেবে তৈরি হবে নজরদারি পরিকল্পনা, পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নে বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর দূষণ পর্যবেক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ।
অন্যদিকে, সোনাদিয়া দ্বীপসহ গুরুত্বপূর্ণ ইসিএ এলাকাগুলোতে উন্নত তদারকি ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ লক্ষ্যে চালু হবে ম্যানগ্রোভ বন পুনর্¯’াপন, বালিয়াড়ি স্থিতিশীলকরণ, কচ্ছপের প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন ও প্রাথমিক পরিবেশগত মূল্যায়ন। এই কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গঠন করা হবে ভিলেজ কনজারভেশন গ্রুপ, যারা টেকসই জীবনযাপন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য কাজ করবে।

আরো পড়ুন  

×