
“প্রতিদিন মেয়ে স্কুলে যায়, অথচ আমি একদিনও তাকে নিয়ে যেতে পারিনি। শুধু ছবিতে দেখি ওর ড্রেস, ব্যাগ, হাঁটা এই সব কিছুর মাঝেই আমার জীবনের সব স্বপ্ন লুকিয়ে আছে।” এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন এক প্রবাসী বাবা, যিনি দেশের বাইরে নিজের পরিবারকে একটু ভালো রাখার জন্য বুকে কষ্ট চেপে দিন পার করছেন।
চার বছরের ছোট্ট ইন্নাস সাফা। সদ্য ভর্তি হয়েছে স্কুলে। স্কুল ড্রেস পরে প্রথম দিন ক্লাসে গিয়েছিল সে। সেই ছবি যখন বাবা ভিডিও কলে দেখলেন, তখন চোখের পানি আটকে রাখতে পারলেন না। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে বললেন, “ইচ্ছা করে ওর হাত ধরে স্কুল পর্যন্ত হেঁটে যাই, একবার কোলে নিই, সবার সামনে গর্ব করে বলি, ‘এই আমার মেয়ে।’ কিন্তু আমার সেই সুযোগ হয়নি...”
এই কথাগুলো শুধু একজন বাবার নয়, বরং হাজারো প্রবাসী পিতার না বলা বেদনার গল্প। যারা দেশের বাইরে শ্রম দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছেন। নিজের ইচ্ছা, ভালোবাসা আর অনুভূতিগুলোকে কুরবানি দিয়ে গড়ে তুলতে চাইছেন সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ।
তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিন কাজে যাওয়ার আগে মেয়ের ভিডিও দেখি। কানে বাজে ওর কথা, মুখের হাসি। আর মনটা পড়ে থাকে দেশের মাটিতে, মেয়ের স্কুলগেটের সামনে।”
মিমিয়া