
মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের কাজাং শহর এখন শুধু একটি বসবাসযোগ্য এলাকা নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে বহু প্রবাসী, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের জীবনের অংশ। এই শহরের অন্যতম প্রাণ হলো সাপ্তাহিক রাতের বাজার, স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘পাসার মালাম’ (Pasar Malam)।
মঙ্গলবারের পাসার মালাম: কাজাংয়ের বিশেষত্ব
প্রতি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজাংয়ের বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষত কাজাং প্রাইম, টামান কাজাং উত্তারা ও টামান জাসমিন এলাকায়—বসে এই পাসার মালাম। বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত সরগরম থাকে কেনাবেচা।
বাংলাদেশি পণ্য ও দোকানদারদের সরব উপস্থিতি
এই বাজারে বাংলাদেশি প্রবাসীদের নিজস্ব দোকান রয়েছে। সেখানে বিক্রি হয়:
✔ দেশি সবজি (লাউ, পুঁইশাক, ধনে পাতা)
✔ মসলা ও শুঁটকি
✔ পরোটা, চিকেন কারি, হালিম, জিলাপি
✔ দেশি পোশাক, জুতা ও টুপি
অনেকে হালাল স্ট্রিট ফুড ব্যবসার সাথেও যুক্ত, যা স্থানীয় মালয় ও বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
সব জাতিগোষ্ঠীর মিলনমেলা
কাজাংয়ের পাসার মালাম যেন এক মাল্টিকালচারাল উৎসব। মালয়, চাইনিজ, ভারতীয় এবং বাংলাদেশিসহ নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এখানে কেনাকাটা করতে আসে। এটি কেবল বাজার নয়, বরং একটি সামাজিক মিলনমেলাও বটে।
মূল আকর্ষণ কী?
✔ “নাসি গোরেং পাটায়” ও “সাটে কাজাং”
✔ তাজা ফল ও জুস (ড্রাগন ফ্রুট, ডিউরিয়ান)
✔ স্ট্রিট ম্যাজিক ও লাইভ গান
✔ বাচ্চাদের খেলনা স্টল
বাংলাদেশি তরুণদের আড্ডা ও মিলনস্থল
কাজাংয়ের এই পাসার মালাম হয়ে উঠেছে প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণদের আড্ডার অন্যতম স্থান। পরিচিত-অপরিচিত প্রবাসীরা এখানে মিলিত হন, ভাগাভাগি করেন সুখ-দুঃখ।
নিয়মিত হাইজিন চেক ও স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ
স্থানীয় পৌরসভা (MPKj) নিয়মিতভাবে এই বাজারে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা তদারকি করে, যাতে পরিচ্ছন্নতা ও হালাল স্ট্যান্ডার্ড বজায় থাকে।
কাজাংয়ের পাসার মালাম শুধু একটি সাপ্তাহিক বাজার নয়; এটি প্রবাসীদের ঘরের স্বাদ, আত্মার শান্তি এবং সামাজিক সংযোগের অনন্য কেন্দ্র।
মিমিয়া