ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

প্রবাসে জুমার দিন

ওবায়দুল হক মানিক, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, আরব আমিরাত

প্রকাশিত: ১০:০৯, ১১ জুলাই ২০২৫

প্রবাসে জুমার দিন

ছবি: জনকণ্ঠ

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করছেন বাংলাদেশিসহ বহু প্রবাসী মুসলিম নাগরিক। আর শুক্রবার, জুমার দিনটি মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও অনেক প্রবাসীর এদিন ছুটি থাকে, আবার অনেকেরই কাজ থাকে। তবে জুমার নামাজের সময় অধিকাংশ কোম্পানির পক্ষ থেকে মুসলিম কর্মীদের কিছু সময়ের জন্য ছুটি দেওয়া হয় যেন তারা জুমার নামাজ আদায় করতে পারেন।

ফলে প্রবাসীরা কাজের ফাঁকে জুমার নামাজ আদায় করেন আন্তরিকভাবে। জুমার দিন মুসলিমদের জন্য একটি বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। একে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবেও গণ্য করা হয়। এই দিনে জুমার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম পুরুষের জন্য ফরজ। জুমার দিনের ফজিলত ও তাৎপর্য কোরআন ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।

জুমা শব্দটি এসেছে "জামায়াত" বা "সমাবেশ" থেকে, যার মাধ্যমে বোঝানো হয় মুসলমানদের একত্রিত হওয়ার একটি নির্দিষ্ট দিন। জুমার দিনে এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহর কাছে করা দোয়া কবুল হয়। এই দিনে জুমার নামাজ আদায় করলে, আল্লাহ তাআলা আগের দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ মাফ করে দেন।

জুমার দিনে গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, মিসওয়াক করা, আগেভাগে মসজিদে যাওয়া, ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং যথাযথভাবে জুমার নামাজ আদায় করাকে সুন্নত ও মুস্তাহাব হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করাও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

জুমার দিনের তাৎপর্য ও বরকত অপরিসীম। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এই দিনটিকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা এবং বেশি বেশি ইবাদতে সময় কাটানো।

মুমু ২

×