
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য একটি খসড়া নীতিমালা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার ভর্তির প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন হতে পারে কোটাব্যবস্থায়, যেখানে নতুন করে যুক্ত হতে পারে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা'।
সূত্র জানায়, যারা চলতি বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন এবং সেই অবস্থাতেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের শিক্ষাজীবনে বিশেষ সুবিধা দিতে এই কোটা প্রস্তাব করা হচ্ছে। যদিও এটি স্থায়ী নয়, প্রাথমিকভাবে আগামী দুই-তিন বছরের জন্য কার্যকর রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রায় ৫৫ বছর পর শিক্ষা কর্মকর্তারা মনে করছেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা’ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। ফলে এই কোটা বাতিলের পক্ষেও সুপারিশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য থাকা ২% পোষ্য কোটা নিয়েও আপত্তি তুলেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।
রোববার (১৩ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালা অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৪ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে ৯৩% আসনে মেধা ভিত্তিতে ভর্তি হয়ে থাকে। বাকি ৭% বিভিন্ন কোটায় বরাদ্দ। এবার এসব কোটার পুনর্বিন্যাস বা বাতিলের দিকেই এগোচ্ছে সিদ্ধান্ত।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ। তিন ধাপে আবেদন ও মাইগ্রেশনের পর সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
শিহাব