
দেবীদ্বারের কৃতি ছাত্রী তাসনুবা ইসলাম তোহা
কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি'তে প্রথম স্থান অর্জন করে ইতিহাস গড়েছে দেবীদ্বারের কৃতি ছাত্রী তাসনুবা ইসলাম তোহা। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে ১,২৬১ নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করে সে কুমিল্লা বোর্ডে সর্বোচ্চ নম্বরধারী হিসেবে বোর্ডসেরা হয়েছে।
তোহা কুমিল্লা সদরের নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার এই অভাবনীয় সাফল্যে শুধু পরিবার নয়, পুরো দেবীদ্বার উপজেলা এবং বিদ্যালয়জুড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার।
তোহা জানায়, কঠোর পরিশ্রম, সময়নিষ্ঠ অধ্যবসায়, নিয়মিত পাঠ্যবই অধ্যয়ন, সাধারণ জ্ঞান ও সাহিত্যচর্চা—এই চর্চাগুলিই ছিল আমার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা ছিল। প্রতিদিন নিয়ম করে বই পড়তাম।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তোহা জানায়—সে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়। সেইসাথে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে, যেন মানুষের জন্য কিছু করতে পারে।
তোহার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ি। তার বাবা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া একজন শিক্ষানুরাগী। মেয়ের সাফল্যে তিনি গর্বিত হয়ে বলেন, এই কৃতিত্ব শুধু তোহার নয়, আমাদের পরিবারের, শিক্ষকদের এবং পুরো সমাজের। আমরা কৃতজ্ঞ সবাইকে।
তোহার মা মোসাঃ আয়শা আক্তার, একজন গৃহিণী, বলেন, তোহা ছোটবেলা থেকেই অন্যরকম ছিল। আমরা শুধু তাকে সময় দিয়েছি, সাহস দিয়েছি। সাফল্যটা ওর নিজের একাগ্রতার ফল।
তোহার এই অর্জনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গর্বিত, সহপাঠীরা অনুপ্রাণিত। দেবীদ্বার উপজেলায়ও উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কুমিল্লার দেবীদ্বারে কর্মরত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার বলেন, তোহার এই অর্জন শুধু তার পরিবারের নয়, গোটা দেবীদ্বারের গর্ব। এক মেধাবী ছাত্রী কীভাবে কঠোর পরিশ্রম করে সেরা হয়, তার প্রকৃত উদাহরণ তোহা। প্রশাসনসহ শিক্ষা কর্তৃপক্ষ তার এই কৃতিত্বকে মূল্যায়ন করবে—এটাই প্রত্যাশা।
তোহার মতো মেধাবীরা আজকের বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে নতুন উচ্চতায়।
সে সত্যিই দেবীদ্বারের গর্ব।
শেখ ফরিদ