
ছবি: সংগৃহীত।
চিকিৎসা, উচ্চশিক্ষা, ব্যবসা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ভিসা পেতে গিয়ে এখন নানা জটিলতায় পড়ছেন বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে।
ভারতের পর্যটন ভিসা কার্যত বন্ধ, আর অন্য ক্যাটাগরির ভিসার ক্ষেত্রেও অনুমোদনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। শুধু ভারতই নয়—থাইল্যান্ড, চীন, তাজিকিস্তান, মালয়েশিয়া এমনকি ইউরোপ ও আমেরিকার ভিসাও এখন অনেক বাংলাদেশির জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে।
নিয়মিত ভ্রমণকারী ও ইউটিউবার নাদির নিবরাস জানান, তার কাছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি তিনটি দেশের ই-ভিসা আবেদন বাতিল হয়েছে।
ভ্রমণ ও ভিসা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো তুলনামূলক সহজে ভিসা দিত। এখন সেখানকার দূতাবাসগুলোও বাংলাদেশিদের আবেদন ফিরিয়ে দিচ্ছে।
‘দ্য মনিটর’-এর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদউদ্দিন আলম মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বেড়ে চলা অবৈধ অভিবাসন এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
পশ্চিমা দেশগুলোতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। বহু শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও ভিসা না পেয়ে হতাশ হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, “ভিসা প্রত্যাখ্যানের নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও অনেক দেশ এখন আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হয়েছে।”
ভিএফএস গ্লোবাল ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়াও ভুয়া সনদপত্র জমা দেওয়ার প্রবণতাও ভিসা প্রত্যাখ্যান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
নুসরাত