
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় খাল থেকে আরিফ হোসেন (১৩) নামে এক মানসিক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিল প্রতিবন্ধী শিশু আরিফ হোসেন। নিখোঁজের দুই দিন পর খালের পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দিন ধরেই পানিতে ডুবে ছিল আরিফ।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা খাল থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরিফ উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের পরকোট গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে যেত না, বাইরে থাকত, ঘোরাঘুরি করত। রাতে বাড়িতে না থেকে পরের দিন সকালে বাড়িতে চলে যেত। গত শনিবার রাতে আরিফ বাড়িতে না যাওয়ায় রোববার সকাল থেকে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা খালে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিহত শিশুর বাবা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি ছেলের মরদেহ দেখে চিনতে পারেননি। পরে তার মা থানায় এসে ছেলের মরদেহ দেখে ছেলের পরিচয় নিশ্চিত করেন। নিহতের পরিবারের এক সদস্য দাবি করেন, আরিফ হয়তো কারও ঘরে ঢুকতে চেষ্টা করেছিল, তাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশুর মরদেহ খালের পানিতে উপুড় হয়ে ছিল। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশসহ চোখ, মুখ ফুলে যায়। শরীরে এ পর্যন্ত কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সানজানা