
চুয়াডাঙ্গায় ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চালকরা। জেলার সাত শতাধিক চালক এ ভোগান্তির শিকার বলে জানা গেছে। করোনাকালীন অচলাবস্থা, ভেন্ডর (চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান) পরিবর্তনসহ দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে এসব জটিলতা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী চালকদের দাবি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চুয়াডাঙ্গা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার কয়েকশ’ চালক করোনাকালে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেন। সেসময়ের অচলাবস্থা ও পরবর্তীতে ভেন্ডর পরিবর্তনের কারণে তাদের লাইসেন্স নবায়নে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার চালক ফরহাদ হোসেন ও হীরন আলী জানান, ভেন্ডর পরিবর্তন, করোনাকালীন অচলাবস্থাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন তাদের আবেদন পড়ে আছে। বর্তমানে অনলাইনে তথ্য অনুসন্ধান করলে ‘রেডি ফর প্রিন্ট’ লেখা দেখাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ছবির সমস্যা। অনলাইনের কল্যাণে যে কাজ নিজ জেলা থেকেই অনুমোদন দেওয়া সম্ভব, সে কাজে স্থানীয় অফিস থেকে স্লিপ নিয়ে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে অনুমোদন আনতে হচ্ছে। এরপর নিজ জেলায় এসে দিতে হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, পিএসভি ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের সময় ‘পিএসভি’ লেখার পরিবর্তে ‘হেভি’ লেখা প্রিন্ট হচ্ছে। এতে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সাংবাদিক ইমরান হোসেন, তার ড্রাইভিং লাইসেন্সে ছবি সমস্যার কারণে প্রিন্ট জটিলতা ছিল। তিনি ঢাকায় গিয়ে কার্ড নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তারা যথানিয়মে কাজ করলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে।
চুয়াডাঙ্গার চালক সাব্বির হোসেন জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় তারা সড়কে গাড়ি চালাতে পারছেন না। এ বিষয়ে অবিলম্বে জটিলতা হ্রাস করে সহজ সমাধান করা দরকার।
এ বিষয়ে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা অফিসেই ৭০০ থেকে ৮০০ লাইসেন্সের আবেদন আছে, যাদের ছবির সমস্যা ও ‘রেডি ফর প্রিন্ট’ লেখা দেখাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব স্থানীয় বিআরটিএ’র সমস্যা না, এগুলো ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের সমস্যা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।
সানজানা