ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

বিএনপি এখন মুজিববাদের পাহারাদার, সেনা বাহীনি ও আমলাতন্ত্রের সিষ্টেম আমাদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলমান রেখেছে: নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ১৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:৫৭, ১৪ জুলাই ২০২৫

বিএনপি এখন মুজিববাদের পাহারাদার, সেনা বাহীনি ও আমলাতন্ত্রের সিষ্টেম আমাদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলমান রেখেছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি: জনকণ্ঠ

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা বলেছিলাম বাংলাদেশে মুজিববাদ একটি বিভাজন তৈরী করেছে। মুজিবাদী সংবিধান বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে এগোতে দেয় নি। কিন্তু সেই মুজিবাদী সংবিধান, সেই বাহাত্তরের সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে এখন বিএনপি। বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দল তৈরী হয়েছে, সন্ত্রাসদের দল তৈরী হয়েছে। মুজিবাদের নতুন পাহাদাড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

 

ফলে চাঁদাবাজ আর মুজিবাদের নতুন পাড়াদার এসেছে। সেই পাহাড়াদাড়কেও আপনাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। আমরা অনৈক্য চাই না। আরা বিবাজন চাই না, কিন্তু যদি জনগনের বিরুদ্ধে দাড়ায়, জুলাই গণ অভ্যুথানের বিরুদ্ধে কোন শক্তি দাড়ায় তবে অবশ্যই থাদের সাথে আমাদের ঐক্য সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন গণ অভ্যুথানের সময় শেখ হাসিনার সরকার যে ভাবে ষড়যন্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে চলমান রেখে ছিল, অভ্যুথানের পরে সেই একই সিষ্টেম, দূর্নিতী-মাফিয়াদের সিষ্টেম, সেই সেনা বাহীনি আমলাতন্ত্রের সিষ্টেম, আমাদের বিরুদ্ধে এখনও যড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। ডিজিএফআই থেকে শুরু করে, বাংলাদেশের ষ্টাবলিষ্টমেন্ট গুলো এই অভ্যুথানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। অভ্যুথানের শক্তির মধ্যে বিভাজন তৈরী করেছে। আমরা বলেছিলাম শত্রু বাংলাদেশের ভিতরে নয়, শত্রু বাংলাদেশের বাইরে রয়েছে। সেই বাইরের শত্রুর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কিন্তু বার বার বাংলাদেশের ভিতরেই আমাদের বিরুদ্ধে বার বার বিভাজন তৈরী করে রাখা হয়েছে। যাতে আমরা দুর্বল থাকি, যাতে আমাদের বিতর অনৈক্য থাকে। আমাদের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র হচ্ছে। স্যোশাল মিডয়া থেকে শুরু করে মিডিয়ায় নানা ধরনের আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র তৈরী করা হচ্ছে। আমরা পটুয়াখালী থেকে ঘেষণা করতে চাই, যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, আমাদের এই পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আপনারা ভয়ের সংস্কৃতিকে তোয়াক্কা না করে সামনে এগিয়ে যাবেন।  

 


নাহিদ বলেন, দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রায় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আজকে রয়েছে পটুয়াখালীতে। জুলাই অভ্যুথানের এক বছরের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই এক বছর আগে বাংলাদেশের ছাত্র-তরুন-জনতা বুক চেতিয়ে লড়াই করেছে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে। গণঅভ্যুথানের পরে আমরা বলেছিলাম মাফিয়া দূর্নিতীবাজ সিষ্টেম, এই সিষ্টেমের পতন ঘটাতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি, সেই সিষ্টেমকে পাহাড়া দেয়ার জন্য নতুন দলের আবির্ভাব ঘটেছে। সেই সিষ্টেম সেই চাঁদাবাজী আগের একটি দল পাহাড়া দিত, এখন নতুন আরেকটি দল পাড়া দিচ্ছে। সেই সিষ্টেম, সেই চাঁদাবাজীকে আরেকটি দল টিকিয়ে রাখছে। আমরা স্পষ্ট ভাবে বলে ছিলাম, আমরা শুধু হাসিনার পতন নয়, সেই দূর্নিতী, সেই মাফিয়াদের পতন চেয়েছি। আমরা এই জন্য বলেছিলাম ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিনাশ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই নতুন বন্দোবস্তের লড়াইয়ে আমরা এখন নেমেছি। অভ্যুথানের মধ্য দিয়ে যেহেতু এই তরুন নেতৃত্ব, ছাত্র নেতৃত্ব সেই সিষ্টেমের পতন ঘটাতে চেয়েছিল, সেই সিষ্টেম কখনই চায় না, এই নেতৃত্ব, এই অভ্যুথানের নেতৃত্ব কোন ভাবে দাড়াক, কোন ভাবে রাঝনৈতিক ভাবে টিকে থাকুক। সেই অভ্যুথানের সময় থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। 
তিনি আজ পটুয়াখালী সার্কিট হাউজের সামনে এক সভায় দুপুর দেড়টার দিকে এ সব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয় সার্কিট হাউজ থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি নিউমার্কেট, সদর রোড, লঞ্চঘাট, পুরানবাজার, হোটেল বনানী এলাকায় হয়ে সার্কিট হাউজ এলাকায় এসে শেষ হয়। সভা শেষে পটুয়াখালী জেলায় এনসিপির অফিস উদ্বোধণ করেন। 

 

 


সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, ডা. তাসনীম জারা, শামান্তা শারমিন, সারজিস আলম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিরা।
 

ছামিয়া

×