ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

শরীরের যেসব লক্ষণ থেকে ব্লাড ক্যান্সার বুঝতে পারবেন

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ১৪ জুলাই ২০২৫

শরীরের যেসব লক্ষণ থেকে ব্লাড ক্যান্সার বুঝতে পারবেন

ছ‌বি: প্রতীকী

ব্লাড ক্যান্সার তখন হয়, যখন হাড়ের ভেতরে থাকা মজ্জা অস্বাভাবিক রক্তকণিকা তৈরি করে। এসব কণিকা ভালো রক্তকণিকাগুলোকে ঠেলে সরিয়ে দেয়। এতে শরীরের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়।

এই রোগের কারণ, ঝুঁকি, উপসর্গ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানা খুব দরকার। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং করলে রোগটি দ্রুত ধরা পড়ে। দ্রুত ধরা পড়লে চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায়।

ব্লাড ক্যান্সারের অনেক ধরনের চিকিৎসা আছে—যেমন কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে অনেক সময় রোগটি ভালো হয়ে যায় বা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই কোনো উপসর্গ দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

যদি নিচের উপসর্গগুলো থাকে, তাহলে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি—

১. সবসময় ক্লান্ত লাগা ও হাঁপ ধরা বিশ্রাম নেওয়ার পরেও শরীরে শক্তি না থাকা, বা একটু হাঁটতেই হাঁপিয়ে যাওয়া— এটা ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

২. গলা বা শরীরের অন্য জায়গায় গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, বারবার অসুস্থ হওয়া ঘাড় বা বগলের নিচে গুটি ধরলে বা বারবার সর্দি-কাশি বা সংক্রমণ হলে সেটা ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৩. হাড় বা জয়েন্টে ব্যথা হাড়ে বা অস্থিসন্ধিতে নিয়মিত ব্যথা অনুভব করলে সেটিও ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৪. রাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ও জ্বর আসা রাতের বেলায় বিছানা ভিজে যাওয়ার মতো ঘাম হলে এবং বারবার জ্বর হলে সতর্ক হওয়া দরকার।

৫. লিভার বা প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া পেটের ডান বা বাঁ পাশে ফোলা অনুভব হলে সেটা লিভার বা প্লীহা বড় হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। এটি ব্লাড ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।

৬. অকারণে ওজন কমে যাওয়া ডায়েট না করেও ওজন কমে গেলে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। অনেক সময় ব্লাড ক্যান্সারে এমন হয়।

৭. সহজে রক্ত পড়া বা ক্ষত হওয়া অল্প আঘাতে দাগ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, দাঁত ব্রাশ করার সময় রক্ত যাওয়া, বা মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাসিক হওয়া ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

এই উপসর্গগুলো অন্য অসুখেও হতে পারে। কিন্তু এসব উপসর্গ যদি নিয়মিত হয় বা দীর্ঘদিন ধরে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এম.কে.

×