
ছবি: জনকণ্ঠ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা মামলা দায়ের ও পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনাজ খাতুন।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৮ জুন রাতে তাকে খালেআলমপুর ছায়তানতলা এলাকা থেকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করে ভোলাহাট থানার ওসি শহিদুল ইসলাম এবং জেলা সদরের সার্কেল অফিসার ইয়াসির আরাফাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। তিনি আরও জানান, পথেই তাকে বেত্রাঘাত করা হয়, গলার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালাগালি করা হয়। পরে একটি নির্জন কক্ষে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়।
শাহনাজ খাতুন আরও বলেন, চোখ বাঁধা ও হাতকড়া অবস্থায় তাকে দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা ‘আয়না ঘরে’ আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসা না দিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখলেও ওসি মতিউর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং উল্টো তাকে হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহনাজ বলেন, “আমি একজন নারী, আর আমার গায়ে পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তা হাত তুলেছে—এটা শুধু আমার জন্য নয়, বরং দেশের সব নারীর জন্য অবমাননাকর।”
তিনি এ ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শাহনাজ খাতুন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তার বোন আফরোজা এবং ভুক্তভোগী তাজকেরা বেগমের মেয়ে কমেলা।
এদিকে, শাহনাজের অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, “ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেত্রী শাহনাজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।”
মুমু ২