
মব কালচারের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, “আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, আগামীতে এ ধরনের অস্থিতিশীল কোনো ঘটনায় ক্যাম্পাস ক্রস ইস্যু করা হয় এবং মব সৃষ্টি করা হয়, তার দায়দায়িত্ব গুপ্ত সংগঠনকে বহন করতে হবে।”
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) পল্টনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টের প্রতিবাদে ছাত্রদলের আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
রাকিব বলেন, “কয়েক বছর পর যখন এই সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, মব নিয়ে জাতির সামনে প্রশ্ন আসবে— তখন এই ছাত্রশিবির এবং বর্তমান সরকারকে এর দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অনেক কষ্টে, আমাদের সারাদেশের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শান্ত রেখেছি। আমরা ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, মব হতে দেইনি। আমাদের শীর্ষ নেতাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তবুও কোথাও আমরা মব সৃষ্টি হতে দেইনি। আমরা শান্তভাবে, ধৈর্যের সঙ্গে সময় পার করছি। কিন্তু এখানে নির্দলীয় সরকারের সুস্পষ্ট ব্যর্থতা রয়েছে এবং ইন্ধন রয়েছে। আমরা এই ইতিহাস ভুলে যাব না।”
রাকিব আরও বলেন, “গুটিকয়েক শিক্ষার্থী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ও সম্মানহানি করেছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেনি। এরপরের দিন তারা অনেক চেষ্টা করেছে, অর্থ বিনিয়োগ করেছে। আমরা দেখেছি, জুলাই-আগস্টে যারা অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে— আইডিয়াল ও সিটি কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা— তাদের ব্যবহার করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করা হয়েছিল। তাতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।”
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্রসমাজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবদান এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বলেই এই ফাঁদে পা দেয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান নির্দলীয় এই সরকারে যারা রয়েছেন, আমরা মনে করি— এ ঘটনার পেছনে তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধন ও সহযোগিতা রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত এ ধরনের অপকর্মের নিন্দা জানায়নি বা দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করেনি।”
সানজানা