
ছবি: প্রতীকী
জমি, ফ্ল্যাট কিংবা মূল্যবান কোনো সম্পত্তি কেনার সময় অনেকেই টোকেন মানি বা হাত বায়নার মাধ্যমে অগ্রিম টাকা দিয়ে থাকেন। তবে এই টাকার বিনিময়ে কোনো রেজিস্ট্রিকৃত দলিল হয় না, ফলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কেউ যদি টোকেন মানি বা হাত বায়না নেন, অথচ নির্দিষ্ট সময়ে সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেন, তাহলে সেই টাকার রিকভারি করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে কিছু আইনি পদক্ষেপ অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত।
কী করবেন টোকেন মানি (হাত বায়না) দেওয়ার সময়?
ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান পরামর্শ দেন-
১. ব্যক্তিগতভাবে বা নগদে লেনদেন নয়:
টাকা লেনদেন করার সময় চেষ্টা করবেন ব্যাংকের মাধ্যমে (ব্যাংক চেক, পে-অর্ডার বা অনলাইন ট্রান্সফার) টাকা দিতে। এতে একটি নির্ভরযোগ্য প্রমাণ থাকে।
২. গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাক্ষী রাখা:
যদি প্রপার্টির মালিক ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা নিতে না চান, তাহলে স্থানীয় কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান বা পরিচিত সম্মানিত ব্যক্তিদের সামনে নগদ লেনদেন করুন।
৩. স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি:
অবশ্যই একটি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত দলিল করে রাখবেন। এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে—
- কত টাকা দিচ্ছেন
- কেন দিচ্ছেন (উদ্দেশ্য)
- কীসের জন্য দিচ্ছেন (প্রপার্টির বিবরণ)
- সাক্ষীদের নাম ও স্বাক্ষর
৪. নোটারাইজ করা:
উক্ত স্ট্যাম্প দলিলটি নোটারাইজ করে নিলে তা আরও বেশি আইনি সুরক্ষা পাবে। নোটারাইজ করতে খরচ কম এবং প্রক্রিয়াও সহজ।
৫. সাক্ষীর সংখ্যা:
একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে রাখুন। একজন নয়, অন্তত দুইজন থেকে চারজন যেন থাকেন।
ব্যারিস্টার লিমা আরও বলেন, ‘এই সব সাবধানতা অবলম্বন করলে হাত বায়নার টাকা বা টোকেন মানির ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আইনি সহায়তা পাওয়া সহজ হয় এবং আপনি প্রতারণার শিকার হলেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।’
তাই প্রপার্টি লেনদেনে শুধু মৌখিক চুক্তির উপর ভরসা না করে আইনি পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=GdrBNpflinY
রাকিব