
ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে ২০২৫ সালের জুলাই থেকে। এ মাস থেকেই শুরু হয়েছে জমির খারিজ বা নামজারি প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তর। সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ঘোষিত এই নতুন পদ্ধতির আওতায় মোট ১৭টি ভূমিসেবা এখন থেকে ধাপে ধাপে অটোমেটেড প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এই ল্যান্ড অটোমেশন পরিকল্পনার ঘোষণা দেন, যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেবা হলো নামজারি বা খারিজ প্রক্রিয়া।
কীভাবে করবেন নামজারি?
যারা ক্রয়সূত্রে জমির মালিক হয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই রেজিস্ট্রিকৃত দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং সর্বশেষ রেকর্ড (খতিয়ান) সংরক্ষণ করতে হবে। উত্তরাধিকারসূত্রে মালিকদের জন্য ওয়ারিশান সনদ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র লাগবে।
প্রথম ধাপে, স্থানীয় কোনো অনলাইন ভিত্তিক কম্পিউটার দোকান থেকে অনলাইনে নামজারির আবেদন দাখিল করতে হবে। আবেদন করার পর একটি কেস নম্বর পাওয়া যাবে, যেটি ভবিষ্যতে ফলোআপের জন্য প্রয়োজন হবে।
এরপর এসি ল্যান্ড অফিস থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করা হবে। নির্ধারিত সময়ে অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় মূল কাগজপত্র জমা দিলেই নামজারি সম্পন্ন হবে।
খরচ কেমন?
সরকার নির্ধারিত ফি-এর মধ্যেই পুরো নামজারি প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব। তবে দালালদের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনো অনৈতিক দাবি বা ঘুষের প্রস্তাব পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের হটলাইন ১৬১২২ নম্বরে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনেই খাজনা
নামজারি সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারী নিজ এলাকা বা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট) এর মাধ্যমে খাজনা দিতে পারবেন। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে হোল্ডিং নম্বর নিয়ে অনলাইনে খাজনা প্রদান প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।
সচেতন হোন, হয়রানি এড়ান
ভূমি মালিকদের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, দালালের খপ্পরে না পড়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেই আবেদন করার। সংশয় থাকলে অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিয়ে অনলাইনে আবেদন করুন।
এই ডিজিটাল নামজারি ব্যবস্থা একদিকে যেমন সময় ও খরচ কমাবে, অন্যদিকে দুর্নীতি রোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Nbj8UwJAnHQ&ab_channel=LegalKnowledge
নুসরাত