
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা অবশেষে চালু করেছে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি জানান, গত মে মাসে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। ওই বৈঠকে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়।
পরবর্তী সময়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা টানা যোগাযোগ রক্ষা করে যান মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালকের স্বাক্ষরসহ একটি পরিপত্র জারি করে দেশটি, যেখানে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের বৈঠকে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন, সেটিই আজ বাস্তবায়ন হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, যেসব বাংলাদেশি কর্মী এরই মধ্যে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা এবং PLKS (টেম্পোরারি এমপ্লয়মেন্ট ভিজিট পাস) পেয়েছেন, তাদের নতুন করে মাল্টিপল ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না। PLKS নবায়নের সময় মাল্টিপল ভিসা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদান করা হবে।
এ ছাড়া যেসব কর্মীদের PLKS বৈধ আছে, তারা নতুন মাল্টিপল ভিসা ছাড়াই মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। এ বিষয়ে দেশটির সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ড. নজরুল বলেন, “মালয়েশিয়া ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নিলেও শুধুমাত্র বাংলাদেশি কর্মীদের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দিয়ে আসছিল, যা দীর্ঘদিন ধরেই ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন মাল্টিপল ভিসা চালু হওয়ায় বাংলাদেশি কর্মীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন।”
এই সিদ্ধান্ত প্রবাসী কর্মীদের চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য আনবে এবং দ্বিপাক্ষিক শ্রম সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ছামিয়া