
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
গত তিন দিন নেই বৃষ্টি। কুমিল্লার কোথাও তেমন পানি ও জলাবদ্ধতা নেই। কিন্তু জলাবদ্ধ হয়ে আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের নজরুল হল।
জানা গেছে, আকাশ মেঘলা হলেই মন খারাপ হয়ে পড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখার একমাত্র আবাসিক কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের শিক্ষার্থীদের। কয়েকঘন্টার বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় নজরুল ইসলাম হলের নিচতলার ৩৩টি কক্ষ। এছাড়াও ডুবে যায় হলের রান্না ঘর, ডাইনিং রুম ও লাইব্রেরি। বৃষ্টি নেই তবু বুধবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে হলে পানি জমে আছে। শিক্ষার্থীদের গোসল করার স্থানে পানিতে টইটুম্বর। আবার সামান্য বৃষ্টি হলেই হলের নিচতলার কক্ষ গুলোতে পানি প্রবেশ করবে। তাই শিক্ষার্র্থীরা জিনিসপত্র এখনও উপরের তলার কক্ষ গুলোতে নিয়ে রেখেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বৃষ্টি হলে গত কয়েক বছর ধরে কলেজ ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীদের আবাসিক হলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এটি নিরসনের জন্য বারবার দাবি করা হলেও কলেজ প্রশাসন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। যার কারণে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় কাজী নজরুল ইসলাম হলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের।
তারা জানান, একবার পানি জমলে তা থেকে মুক্তি মেলেনা। এই পানি শুকাতে সময় লাগে এক থেকে মাস।
অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র ও হলের আবাসিকি শিক্ষার্থী রবিউল আউয়াল বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই কলেজের ক্লাসরুম, আবাসিক হল, রাস্তা ও মাঠ ডুবে যায়। কাজী নজরুল ইসলাম হল আশপাশের জায়গার তুলনায় নিচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টি হলে ছাত্রদের কক্ষে পানি ঢুকে। লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এখনও পানি শুকায়নি। অধ্যক্ষ স্যারের কাছে গেলে সমাধান থাক কোন আশ্বাসও পাইনা।
হলের নিচতলার আবাসিক শিক্ষার্থী শেখ ফরিদ বলেন, এই সমস্যা দিনের পর দিন বাড়ছে। আমরা স্যারকে অনুরোধ করেছি সমাধানের জন্য। কিন্তু কোন কিছুই দেখছি না।
এদিকে জলাবদ্ধতাসহ নানান সমস্যার সমাধানের ৯দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে গত বৃহস্পতিবার। পরে শিক্ষার্থীরা কোন আশ্বাস না পেলে অধ্যক্ষ পদত্যাগের একদফা দাবিতে রূপ নেয়। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ৮ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঞাঁ বলেন, ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।
তবে সেটি কবে নাগাদ কাজ শুরু করবে এমন কোন আশ্বাস তিনি দিতে পারেননি। তাই শিক্ষার্থীদের অধ্যক্ষ পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ের আন্দোলন চলমান।
ফারুক